Science News: পশ্চিম থেকে পূর্বেই ঘোরে পৃথিবী, মঙ্গল, বুধ,ব্যতিক্রম শুধুমাত্র দুই গ্রহ
ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে, অর্থাৎ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে পৃথিবী। ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে যা পড়েছিলাম আমরা, আজ পর্যন্ত তাতে কোনও বিচ্যুতি ঘটেনি। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে বলেই পূর্ব আকাশে সূর্যোদয় দেখতে পাই আমরা এবং পশ্চিম আকাশে দেখা যায় সূর্যাস্ত। কিন্তু অন্য় গ্রহরাও কি একই ভাবে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে? এই প্রশ্নও ওঠা স্বাভাবিক। ছবি: পিক্সাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বুধ, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি এবং নেপচুনও পৃথিবীর মতোই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে, ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে। কিন্তু বাকি গ্রহগুলি এর ব্যাতিক্রম। ছবি: পিক্সাবে।
এর মধ্যে প্রথমেই শুক্রগ্রহের কথা উঠে আসে। শুক্রগ্রহ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ঘোরে। সেখানে পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় হয়, সূর্যাস্ত হয় পশ্চিম আকাশে। কোনও বহৃদাকার মহাজাগতিক বস্তুর আঘাতেই শুক্র ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন হয়েছে বলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দাবি ছিল বিজ্ঞানীদের। পরবর্তীতে যদিও শুক্রের বায়ুমণ্ডলকে এই উল্টো ঘূর্ণনের জন্য দায়ী করা হয়। ছবি: পিক্সাবে।
NASA জানিয়েছে, শুক্রের বায়ুমণ্ডল কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিপূর্ণ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চেয়ে শুক্রের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব ৯০ গুণ বেশি। এর ফলে কোটি কোটি বছর ধরে শুক্রের গতি ক্রমশ শ্লথ হয়ে গিয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
২০২২ সালে একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, সূর্যের তাপমাত্রা তীব্র মহাজাগতিক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। ওই তরঙ্গে শুক্রের মতো পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। এর ফলেই শুক্র পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘোরে শুক্রগ্রহ। অর্থাৎ সম্মুখে এগিয়ে যায় না, বরং পিছনের দিকে এগোয়। নিজের অক্ষের উপর একবার পাক খেতে শুক্রের ২৪৩ দিন সময় লাগে। ছবি: পিক্সাবে।
শুক্রগ্রহের মতো ইউরেনাসও উল্টোদিকে ঘোরে। কক্ষপথের উপর দাঁড়িয়ে বা সামান্য হেলে নয়, কাত হয়েই ঘোরে ইউরেনাস, পিছনের দিকে। কোনও মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ইউরেনাসের এমন অবস্থা বলে মত বিজ্ঞানীদের। ছবি: পিক্সাবে।
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, একসময় ইউরেনাসের একটি বৃহদাকার উপগ্রহ ছিল। সেই উপগ্রহের অভিকর্ষ টানেই কাত হয়ে যায় ইউরেনাস। পরবর্তীতে উপগ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে ৯০ ডিগ্রির বেশি হেলে যায় ইউরেনাস। ছবি: পিক্সাবে।
পৃথিবীতে থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণন অনুভব করতে পারি না আমরা। তবে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখি রোজ। গ্রহগুলির এই ঘূর্ণনের নেপথ্যে সৃষ্টিতত্ত্বই দায়ী বলে মত বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, সৌরজগতের সৃষ্টি হয় দৈত্যাকার গ্যাস এবং ধুলোর কুণ্ডলীর আকারে। ছবি: পিক্সাবে।
এতটাই ঘনত্ব বেশি ছিল ওই কুণ্ডলীর যে একটু একটু করে ভেঙে পড়তে শুরু করে। কেন্দ্রস্থলে জন্ম নেয় সূর্য, তার আশেপাশে গ্রহগুলি জন্মায়। সূর্যই অভিকর্ষ শক্তির কেন্দ্রস্থল, গ্রহ এবং উপগ্রহগুলি তার শাখা-প্রশাখার মতো বিরাজ করছে। সেই কারণেই অধিকাংশ গ্রহের ঘূর্ণন একই দিকে এবং কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির ফলে বাকিগুলি ব্যতিক্রম বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের। ছবি: পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -