Science News: কেন ঘুমাই আমরা, উত্তর সহজ নয় মোটেই
জীবনের এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কেটে যায় আমাদের। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে গোটা দিন অস্বস্তি থাকে শরীরে এবং মনে। স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু কেন ঘুমাই আমরা? কী বলছে বিজ্ঞান?
কেন ঘুম হয় আমাদের, তার নির্দিষ্ট উত্তর নেই বিজ্ঞানের কাছেও। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী মাইকেল হালাসা তাই অকপট, “সত্যিই লজ্জাজনক বিষ। খাওয়া-দাওয়া, প্রজননের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ঘুম। কিন্তু কেন ঘুম হওয়া প্রয়োজন, জানি না আমরা।”
জেগে থাকলে যেমন সতর্ক, সচেতন থাকি আমরা, ঘুমিয়ে পড়লে তা হয় না। বরং ওই সময় মস্তিষ্ক একরকম ভাবে অফলাইন হয়ে যায়।
ঘুমের নেপথ্য কারণ নিয়ে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। এর মধ্যে কোনওটিই একেবারে নিখুঁত নয়, তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের মতে, মস্তিষ্ক যাতে নিজে নিজেকে চিনতে পারে, তার জন্যই ঘুম প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়াকে তাঁরা প্লাস্টিসিটি বলেন।
ঘুম যে অবশ্য প্রয়োজন, তা খাতায়-কলমে প্রমাণিত। দুই থেকে তিন সপ্তাহ অনিদ্রায় কাটলে ইঁদুর এমনিতেই মারা যায়। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। যদিও মানুষের উপর এমন পরীক্ষা হয়নি আজ পর্যন্ত।
২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা ঘুম না হলেই অনেকের হ্যালুশিনেশন হয়, স্কিৎফ্রেনিয়া রোগীর মতো আচরণ করতে শুরু করেন।
কেন ঘুম হয় আমাদের, আলাদা করে তা পরীক্ষার উপায় নেই। যে কারণে অনিদ্রায় ভোগা রোগীদের নিরীক্ষণ করেই সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা হয়।
বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের মতে, ঘুম পুরোপুরি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত। নিউরনের নেটওয়র্ক সংযুক্ত ভাবে কাজ করে ঘুম পায়, আর প্রত্যেকে আলাদা ভাবে কাজ করলে জেগে ওঠেন মানুষ।
কারও কারও মতে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ঘুম। এর নেপথ্যে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল, সারাদিনের পর অপ্রয়োজনীয় তথ্য বর্জ্যস্বরূপ বের করে দেয় মস্তিষ্ক। এর ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে তরতাজা লাগে।
বিজ্ঞানীদের আর একটি অংশের মতে, মস্তিষ্কের কানেক্টিভিটি এবং প্লাস্টিসিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঘুমের। প্লাস্টিসিটি অর্থাৎ সদ্য ঘটা কোনও ঘটনাকে স্মৃতিতে বন্দি করে রাখা, যা পরবর্তী কালে তথ্য হিসেবে কাজে লাগে এবং সেই নিরিখে আমাদের আবেগ কাজ করে। কানেক্টিভিটি অর্থাৎ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে মস্তিষ্কের প্রত্যেক অংশের মধ্যে সংযোগরক্ষা। তবে পুরোটাই অনুমান। কেন ঘম হয়, সে নিয়ে সুনিশ্চিত ভাবে কোনও ধারণায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি আজও।
image 12
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -