Ocean Water: মুখে দেওয়া যায় না, এতটাই লবণাক্ত হয় সাগর-মহাসাগরের জল, কিন্তু কেন?
কথায় কথায় সাত সমুদ্র, ১৩ নদীর উল্লেখ করি আমরা। তাই বলে কি পানীয় জলের ঘাটতি মেটে? মোটেই না, কারণ সমুদ্রের লবণাক্ত জল পানযোগ্যই নয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজল ছাড়া মানুষের পক্ষে জীবনধারণ সম্ভব নয়। কিন্তু পৃথিবীর তিন ভাগ জল হলেও, সাগর-মহাসাগরের জল তেষ্টা মেটানোর উপযোগী নয় মোটেই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাগর-মহাসাগরই পৃথিবীর ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে রয়েছে। পৃথিবীতে প্রাপ্ত জলের ৯৭ শতাংশই সাগর-মহাসাগর থেকে আসে।
সামুদ্রিক জলে লবণের পরিমাণ প্রতি হাজারে ৩৫ ভাগ, তা শুনলে বেশি মনে না হলেও, কিন্তু হিসেব করলে দেখা যায়, প্রতি কিউবিক মাইল সমুদ্রের জলে লবণের পরিমাণ ১২ কোটি টন।
কিন্তু সমুদ্রের জলে এত পরিমাণ লবণ আসে কোথা থেকে? তার উত্তর খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, স্থলভাগ থেকেই মূলত সমুদ্রের জলে লবণ মেশে।
বিজ্ঞানীদের মতে, বাতাস ভেদ করে পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে বৃষ্টির ফোঁটা। বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের সংমিশ্রণ ঘটলে বৃষ্টির ফোঁটা অম্ল হয়ে ওঠে। এর পর মাটি, পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়ার সময় লবণ এবং খনিজ মেশে তার সঙ্গে।
তখনও পর্যন্ত মোটামুটি শুদ্ধই তাকে বৃষ্টির জল। লবণ মিশলেও একেবারে পানের অযোগ্য হয় না। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বৃষ্টির জল সমুদ্রে গিয়ে মেশে। তাতে স্থলভাগ থেকে সংগৃহীত ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ ওই জল থেকে আলাদা হয়ে গেলেও, লবণ থেকে যায়।
সমুদ্রগর্ভে থাকা হাইড্রোথার্মাল এবং অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা বাড়তি লবণ সংযোগ করে জলে। তাতেই সমুদ্রের জল লবণাক্ত এবং পানের অযোগ্য হয়ে ওঠে।
স্থলভাগ থেকেই সমুদ্রের জলে লবণ মেশে বলে ১৭১৫ সালে প্রথম দাবি করেন ব্রিটেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি। এর পর ১৮৯৯ সালে আয়ারল্যান্ডের পদার্থবিদ জন জলিও সেই নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন।
হ্যালি এবং জলি যে সময় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন, তখন বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি হয়নি। উন্নত প্রযুক্তিও ছিল না হাতে। এমনকি হ্যালির গবেষণায় বেশ কিছু ত্রুটিও ধরা পড়ে। যদিও স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের জলে লবণ মেশার দাবি বর্তমানে স্বীকৃত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -