Kirti Azad: স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কপিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার, দুর্গাপুরের শ্মশানে শেষকৃত্য

প্রয়াত হলেন ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম আজাদ। কীর্তি এখন বর্ধমান-দুর্গাপুরের TMC সাংসদও।

দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর দুরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছিলেন পুণম। নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

বিরল স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত ছিলেন পুণম। গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। শোকস্তব্ধ দুর্গাপুরের রাজনৈতিক মহল।

শোকজ্ঞাপন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বরা।

শোকজ্ঞাপন করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্ত, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী সহ দলীয় নেতৃত্বরা।

সাংসদ কীর্তির সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন পুণম। তাঁকে আপন করে নিয়েছিলেন দুর্গাপুরবাসীও।

পুণমের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁরা। এদিন দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানে।

আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত এবং প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। পুনম আজাদ বিহারের দক্ষ সংগঠক ছিলেন। যেদিন থেকে দুর্গাপুরে এসেছেন তখন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আজ তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোটা দুর্গাপুরবাসী শোকাহত।”

১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। সেই দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ। ছবি - কীর্তি আজাদের ফেসবুক থেকে নেওয়া