Bazball: ক্রিকেট বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে, বাজ়বল আসলে কী?
বাজ়বল। গত এক-দেড় বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্বে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই একটি শব্দকে নিয়ে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকী এই বাজ়বল? কেনই বা বাজ়বল নাম দেওয়া হয়েছে? ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তা তুলে ধরতেই এই প্রতিবেদন।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে বাজ়বল। আগে টেস্ট মানেই সকলে বুঝতেন পাঁচ দিন ধরে চলবে ম্যাচ। ক্রিজে কোন ব্যাটার কতক্ষণ সময় কাটাতে পারলেন, তাতেই যেন প্রতিফলিত হয় তাঁর দক্ষতা। এমনকী, সুনীল গাওস্করের অমোঘ উক্তিকে যেন ব্যাটারদের বেদবাক্য মনে করা হতো। দিনের প্রথম এক ঘণ্টা বোলারকে দাও, তাহলে বাকি দিনটি তোমার।
সেই দর্শনকেই বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বাজ়বল। যার অর্থই হল, টেস্ট ক্রিকেট খেলো ইতিবাচক ও আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে। ওয়ান ডে ক্রিকেটের আদলে গতিতে রান করো। মূল মন্ত্রই হল, ব্যাটিং করতে হবে আগ্রাসী মেজাজে। মারার বল পেলে মারবে। সে তখন দলের ৫ বা ৬ উইকেট পড়ে যাক না কেন!
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হয়ে আসার পর থেকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মন্ত্রে দীক্ষিত করেন ইংল্যান্ড দলকে। ক্রিকেটবিশ্ব ম্যাকালামকে আদর করে ডাকে বাজ় নামে। সেই থেকেই বাজ়বল কথাটির উৎপত্তি।
বাজ়বলের মূল মন্ত্রই হল মাঠে নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার স্বাধীনতা। ইংরেজ তারকা জনি বেয়ারস্টো একবার বলেছিলেন, বাজ়বল মানে ক্রিকেটারদের নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলার স্বাধীনতা। যেখানে থাকবে না ব্যর্থ হওয়ার ভয়।
বাজ়বল মানেই দ্রুত গতিতে রান তুলবেন ব্যাটাররা। আর বোলারদের লক্ষ্য থাকবে রান আটকানোর দিকে নয়, বরং উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে দ্রুত অল আউট করার দিকে। ২০২২ সালে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে দ্রুত রান তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইংরেজ ব্যাটাররা। একদিনে ৫০৬ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
টেস্ট ক্রিকেট ড্র করা নয়, বরং ফলাফলের মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে, এটাই বাজ়বলের মোদ্দা কথা। বার্মিংহামে অ্যাশেজ সিরিজের টেস্টে যেভাবে ফলাফলের জন্য মরিয়া স্টোকস আচমকা ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে চর্চা হয়েছিল। ওভালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্টে প্রথম দিন এক ঘণ্টা বাকি থাকতেই ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমে টেস্ট ক্রিকেটের হারানো জৌলুস ফেরানোর চেষ্টা করছে বাজ়বল।
তবে বাজ়বল নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। ভারতের অফস্পিনার আর অশ্বিন যেমন বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট মানে সব ধরনের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। যা বাজ়বলে হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথও জানিয়েছিলেন যে, সব ধরনের উইকেটে বাজ়বল সম্ভব নয়।
যদিও তাতে থেমে থাকেনি বাজ়বল। প্রতিপক্ষদের মনে এমন এক সংশয় তৈরি করে দিয়েছে যে, পাঁচশো রানের লিড নিয়েও ডিক্লেয়ার দিতে দুবার ভাবছে কোনও দল। রাজকোটে ভারত বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও, ৫৫৭ রানে এগিয়ে যাওয়ার আগে ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সাহস দেখায়নি। এতেই বাজ়বলের সাফল্য, বলছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। ছবি - পিটিআই
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -