IPL 2025 Retention: কেবল ধোনি নন, আইপিএলের নিয়মে আসন্ন মরশুমে 'আনক্যাপড' টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলা এই তারকারাও

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী উক্ত মরশুমের আগের পাঁচ বছরে যদি কোনও ক্রিকেটার দলের প্রথম একাদশে না থাকেন, বা তাঁর যদি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও বার্ষিক চুক্তি না থাকে, তাহলে তাঁকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য করা হবে।

এই নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে শেষবার ভারতের জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা, দুই বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও আনক্যাপড ক্রিকেটারের তালিকায়। তবে তিনি একা নন।

আইপিএলের সর্বকালের অন্যতম সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক অমিত মিশ্র। ২০১৭ সালে শেষবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আসন্ন মরশুমে মাহির মতো অমিত মিশ্রও আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য হবেন।

আরেক লেগ স্পিনার কর্ণ শর্মাও ভারেতর হয়ে একটি করে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি এবং দুইটি ওয়ান ডে খেলেছেন। তিনিও আনক্যাপড ক্রিকেটার।

বিজয় শঙ্করও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতোই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে শেষবার ভারতের হয়ে খেলায় এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

বিগত দুই মরশুমে মোহিত শর্মার উত্থান তো অনেকটা স্বপ্নের মতোই। অবশ্য উত্থান ঠিক নয়, বলা চলে পুনর্জন্ম। একদা আইপিএলে পার্পেল ক্যাপ বিজেতা কার্যত বাতিলের খাতায় পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি। গত দুই মরশুমে ৪০টি উইকেট নেওয়া মোহিত কিন্তু বেশ ভাল রিটেনশন হতে পারেন।

এই তারকাদের থেকে ২৬ বছর বয়সি ময়ঙ্ক মারকাণ্ডে অনেকটাই ছোট। তবে তিনি জাতীয় দলের গণ্ডির আশেপাশেও নেই। তাঁকেও আনক্যাপড হিসাবে রিটেন করা যেতেই পারে।

ঋষি ধবন ভারতের হয়ে ২০১৬ সালে শেষবার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। তারকা অলরাউন্ডারকে আনক্যাপড হিসাবে রিটেন করতে পারা যাবে।

সন্দীপ শর্মার আইপিএল পরিসংখ্যান কিন্তু যশপ্রীত বুমরাকেও টেক্কা দেওয়ার মতো। সেই সন্দীপ রাজস্থান রয়্যালসের জন্য রিটেনশন হিসাবে কিন্তু ভাল বিকল্প হতে পারেন। তাঁকে আনক্যাপড হিসাবেই রাখতে পারে রাজস্থান।

আইপিএলে পাঁচ পাঁচটি খেতাব জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর দখলে। ২০০৭ সালে টি-২০ ও ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী দলগুলিরও সদস্যও ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ এই লেগ স্পিনারও ধোনির মতো আনক্যাপডের তালিকায় পড়বেন। ছবি- পিটিআই