Ranji Trophy Final: ক্যাচ নষ্ট, ৮ নো বলের পাশাপাশি বঙ্গ শিবিরের যন্ত্রণা বাড়ল অর্পিতদের ব্যাটের শাসন
ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ঢোকার মুখে ফুল-সজ্জা। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে বাংলার শেষ রঞ্জি জয়ী দলের গ্রুপ ছবি। রঙিন আলো। যুযুধান দুই অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও জয়দেব উনাদকটের কাট আউট। সঙ্গে দুই শিবিরের ক্রিকেটারদের অবয়ব-সহ হোর্ডিং।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appউজ্জ্বল পরিসর পেরিয়ে মাঠের পাশে গেলেই অবশ্য বাংলার ক্রিকেটের জন্য শুধু হতাশার ছবি। যেখানে সারাদিনে সৌরাষ্ট্রের মাত্র তিনটি উইকেট ফেলবে বাংলা (Bengal vs Saurashtra)। হজম করবে ১৪৩ রানের লিড। ফেলে দেবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারের সহজ ক্য়াচ। সারাদিনে করবে আটটি নো বল।
সব মিলিয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ঘরের মাঠে ভরাডুবির আশঙ্কায় বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষেই ইনিংস হারের আতঙ্ক চেপে বসছে মনোজ তিওয়ারিদের শিবিরে।
প্রথম দিন বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর সৌরাষ্ট্র শেষ করেছিল ৮১/২ স্কোরে। বাংলা শিবির থেকে বলা হয়েছিল, শুক্রবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুরু থেকে ঝাঁপাবেন বোলাররা। এমনকী, বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেছিলেন, আর ৬০ রানের মধ্যে সৌরাষ্ট্রকে অল আউটও করে দিতে পারে বাংলা।
মাঠে দেখা গেল, সারাদিন ৭০ ওভার বলে করে ২৩৬ রান খরচ করলেন বাংলার বোলাররা। তুললেন মাত্র ৩টি উইকেট। যার মধ্যে একটি আবার পেসার চেতন সাকারিয়ার উইকেট। যিনি বৃহস্পতিবার নৈশপ্রহরী হিসাবে নেমেছিলেন। সারাদিনে ৮টি নো বল করলেন বাংলার বোলাররা। যার মধ্যে আকাশ দীপ একাই করলেন ৭টি নো বল।
ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেছেন সৌরাষ্ট্রের দুই ব্যাটার - অর্পিত বাসবডা ও চিরাগ জানি। অর্পিত ৮১ রানে ও চিরাগ ৫৭ রানে অপরাজিত। মাঠ ছাড়ার সময় চিরাগ বলে গেলেন, 'আমাদের লক্ষ্য শনিবার, তৃতীয় দিনও সারাদিন ব্যাট করা। আর বড় রানের লিড নেওয়া।' যে কথায় বাংলা শিবিরের মতো ঠুনকো অহংয়ের ঝনঝনানি নেই। রয়েছে আত্মবিশ্বাসের ছাপ।
বাংলা শিবির অবশ্য ওপর ওপর দেখাতে চাইছে যে, বিন্দুমাত্র চাপে নেই তাঁরা। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল তো বলেই দিচ্ছেন, 'এখনও তিনদিন খেলা বাকি। ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। এখান থেকেও প্রত্য়াবর্তন সম্ভব। এখনই আমাদের মুছে ফেলা ঠিক হবে না।'
ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় চিরাগ জানি প্রাণরক্ষা পেয়েছিলেন। মুকেশ কুমারের বলে তাঁর ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন শাহবাজ আমেদ। তবে লক্ষ্মী বলছেন, 'এটা খেলার অঙ্গ।' সারাদিনে পেসারদের ৮টি নো বল নিয়েও কার্যত একই সুর। বলছেন, 'এরকম হতেই পারে। আমাদের বোলাররা হয়তো প্রত্যাশিতভাবে বল করতে পারেনি। কিন্তু ওরাই ঘুরে দাঁড়াবে।'
বাংলা কোচ হয়তো ভেতরের রক্তক্ষরণটা বুঝতে দিতে চাইলেন না। যেখানে হতাশা, আতঙ্ক, যন্ত্রণা মিলে মিশে একাকার। সেখানে যেমন দুশো রানের লিড হজম করার ঝুঁকিও রয়েছে, সেরকমই রয়েছে কাঁধে চোট পাওয়া সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে না পারার অশনি সংকেত। আর রয়েছে ঘরের মাঠে সৌরাষ্ট্রের কাছে বিরাট হারের উদ্বেগ।
অনেকে ফলো অন করেও এই ইডেনেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের উদাহরণ দিচ্ছেন। বলছেন, বাংলার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই দলে একজন ভি ভি এস লক্ষ্মণ আর একজন রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন। যাঁরা অজি গুলিগোলা সামলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। থরহরিকম্প বেঁধে যাওয়া বাংলা শিবিরে লক্ষ্মণ-দ্রাবিড় হয়ে আবির্ভূত হবেন কারা?
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -