কলকাতা : অক্ষয় তৃতীয়া ৷ পাঁজি মতে, পয়লা বৈশাখের পর বাংলা বছরের প্রথম শুভদিন ৷  পয়লা বৈশাখের মতো এদিনও হালখাতা হয় দোকানে দোকানে ৷ সেই উপলক্ষ্যে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করাতে এদিন বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় করেন ব্যবসায়ীরা ৷ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছেও শুভ’র বার্তাবাহক অক্ষয় তৃতীয়া৷ ধনতেরাসে সোনা কেনা যদি উত্তর ভারতের রীতি হয়, দক্ষিণে তাহলে অক্ষয় তৃতীয়া ৷ সেদিন বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হন গণেশ লক্ষ্মী। ব্যবসায় নবসূচনা হয়। 


বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়ায় এই দিনটিতে যে ধনসম্পদ ক্রয় করা হয়, তার ক্ষয় হয় না ৷ এই বিশ্বাস থেকেই এই দিনটিতে পুজো ছাড়াও সম্পদ কেনার জন্য বিশেষ উৎসাহ লক্ষ করা যায় মানুষের মধ্যে ৷ এই বিশেষ দিনে দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট, বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে পুজো দিতে ভিড় জমান ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ৷ 


এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া পড়েছে শুক্রবার। ১০ মে ( Akshaya Tritiya 2024 Date) । জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই দিনে সূর্য এবং চন্দ্র তাদের সর্বোচ্চ রাশিতে থাকে। শাস্ত্রে অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিকে স্বয়ংসিদ্ধ মুহূর্ত বলা হয়। কথায় বলে এর মানে বৈশাখের মতো কোনও পুণ্য-মাস নেই, সত্যযুগের মতো কোনও যুগ নেই, বেদের মতো কোনও শাস্ত্র নেই এবং গঙ্গার মতো কোনও তীর্থযাত্রা নেই। একইভাবে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো কোনও তিথি নেই। 


-  বিশ্বাস করা হয় ,অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুরু করা কাজ শুভ ফল দেয়। এই কারণেই মানুষ নতুন ব্যবসা শুরু করে এই তিথিতে। হালখাতার পুজো হয়। এই দিনে নতুন কিছু কেনাও শুভ।


-  কথিত আছে যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে আপনি যে কাজই করুন না কেন, তার ফল অবশ্যই পাবেন। তাই এই দিনে কোনও খারাপ বা অন্যায় কাজ করবেন না। অন্যথায় আপনি অবশ্যই এর ফলাফলও পাবেন।


- অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ভগবান পরশুরামের জন্ম হয়েছিল। পরশুরামকে ২৪ দেবতার মধ্যে ষষ্ঠ অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরশুরামের ছাড়াও, ব্রহ্মার পুত্র অক্ষয় কুমারও এই দিনে জন্ম নেন।


- অক্ষয় তৃতীয়া  থেকে সত্যযুগ, দ্বাপরযুগ ও ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। কেনাকাটার পাশাপাশি অক্ষয় তৃতীয়া দান ধ্যানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।  এই দিনে,  কর্ম, সেবা এবং দান ইত্যাদির মাধ্যমে মানবধর্ম অনুসরণ করুন।


- অক্ষয় তৃতীয়ায় যব দান করা স্বর্ণদানের সমতুল্য বলে বিবেচিত হয়। সেই সঙ্গে জমি, সোনা, পাখা, ছাতা, জল, সত্তু, কাপড় ইত্যাদিও এই দিনে দান করা যেতে পারে।


- কথিত আছে, অক্ষয় তৃতীয়ায় রোহিণী নক্ষত্র থাকলে এই দিনের গুরুত্ব হাজার গুণ বেড়ে যায় এবং এবার ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন রোহিণী নক্ষত্র থাকবে সকাল ১০টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত।


- অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে চারটি ধামেই একজন শ্রী বদ্রীনারায়ণের দরজা খুলে দেওয়া হয়।


- বছরে মাত্র একবার, অক্ষয় তৃতীয়ায়, বৃন্দাবনে বাঁকেবিহারীর পা দেখা যায় বলে বিশ্বাস। 


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।