কলকাতা : অম্বুবাচী। বিশ্বাস, এই সময় ঋতুমতী হন মাতা বসুন্ধরা। সেই উপলক্ষ্যে নানা নিয়ম পালন করা হয় দেশ জুড়ে। ঋতুমতী হলে মেয়েদের সন্তানধারণের ক্ষমতা জন্মায়। তেমনই এই অম্বুবাচীর পরই পৃথিবী শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে বসুন্ধরা। আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে মাসের চতুর্থ পদে পড়লেই শুরু হয় অম্বুবাচী। তিনদিন চলে সেই পর্যায়। এই সময় মাটি কর্ষণ বন্ধ থাকে। দেবী মূর্তি ঢাকা থাকে কাপড়ে। এই তিনদিন পুজোও বন্ধ থাকে অনেক মন্দিরে। 


মাটির উপরে এই কদিন আগুন জ্বালিয়ে রান্না করেন না সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও বিধবা মহিলারা। যাঁরা অম্বুবাচী কঠোরভাবে পালন করেন, তাঁরা এই তিন দিন খেয়ে থাকেন শুধু ফল-মিষ্টি। এই তিনদিন কোনও শুভ কাজ করা হয় না। ২২ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে শুরু হয়েছে। এরপর থেকে ৩ দিন চলে ২৫ জুন (১০ আষাঢ়) শেষ হবে এই পর্যায়। 


অনেকের বিশ্বাস , 



  • অম্বুবাচীর সময়টুকু বিধবা মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখেন।

  • অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তাঁরা তিন দিন ধরে খেতে পারেন।

  • তবে তিন দিনের পুরনো খাবার খাওয়া তো সম্ভব নয়, তাই অনেকেি ফলমূল খেয়ে কাটিয়ে দেন সময়টা। 

  •  তিন দিন তারা কোন গরম খাবার খান না।  

  • এই সময় দেবীপুজো করা হয় না। 

  • অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে

  • দেবীর মুখ ঢেকে রাখা হয়। 

     মন্দির থেকে এই সময় লাল তরল নিঃসৃত হয় বলে বিশ্বাস 
    ওড়িশায় এই পার্বণকে  ‘রজ উৎসব’ বলা হয়। সতীপীঠ কামাক্ষ্যায় এই উৎসব বড় করে পালিত হয়। কথিত আছে, এই সময় মন্দির থেকে লাল তরল নিঃসৃত হয়। দেবীর ঋতুকাল সমাগত মনে করে উৎসব পালিত হয় তখন।  

    অম্বুবাচী মেলা
    বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘কীসের বার কীসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ এবারও অম্বুবাচী শুরু হয়েছে ওই দিনেই।  অম্বুবাচীর সময় অনেক তীর্থস্থানে মেলার আয়োজন হয়।  অম্বুবাচী মেলা খুবই বিখ্যাত সতীপীঠ কামাক্ষ্যায়। 

    এই সময় দেবীর মন্দির বন্ধ থাকে। আর সকলে মন্দির ঘিরে কীর্তন করেন। এরপর চতুর্থ দিনে এই পর্যায় শেষ হলে মন্দির খুলে যায়। রক্তবস্ত্র আশীর্বাদ হিসেবে মেলে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই কাপড় গ্রহণ করলে মনের সব আশাপূর্ণ হয়।  


ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।