কলকাতা : বজরং বাণ ( Bajrang Baan ) হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে  অত্যন্ত প্রিয়। কারণ বজরং বাণ মানুষকে শক্তি দেয়। হনুমান চালিশা পাঠে যেমন শক্তি ও ভক্তি, তেমনই বজরং বাণ মানুষের শক্তির উৎস। মনে করা হয়, বজরং বাণ পাঠে  রাশিতে মঙ্গলের দোষ কাটে।  বজরং বাণ পাঠে শাপ মুক্তি হয়। শত্রুভয় কাচে। রোগ থেকে মুক্তি ঘটে। 'বজরং বাণ' মন্ত্র বেশ প্রভাবশালী। একে চালিসা বা কবচ না বলে 'বাণ' বলা হয়। বজরং বাণের প্রতিটি শব্দের মধ্যে রয়েছে অনন্য শক্তি। মঙ্গলবার বজরং বাণ পাঠ করলে বেশ কিছু অমূল্য উপকার পাওয়া যায়। 'বাণ' কথার অর্থ নির্ধারিত লক্ষ্যকে ভেদ করা। অর্থাৎ এমন একটি অস্ত্র, যা ছাড়া ঈশ্বরের কৃপা পাওয়ার আর কোনও উপায় নেই। যখন কোনও তপস্যাই সঙ্কট কাটাতে পারে না, তখনই ভরসা দিতে পারে'বজরং বাণ' পাঠ। যখন বিপদ খুব প্রবল হয়, তখন এটি পাঠ করলে খুব শুভ ফল পাওয়া যায়। 


কখন বজরং বাণ পাঠ করবেন ?


মনে রাখতে হবে, বিশেষ পরিস্থিতিতেই বজরং বাণ পাঠ করা উচিত। আপনি কি শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত ? শরুরা প্রতিনিয়ত সমস্যা ও বাধা সৃষ্টি করছে? দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন? তাহলে চিকিৎসার পাশাপাশি বজরং বাণ-এর সাহায্য নিন। বারবার চাকরি বা লক্ষ্যবস্তু হাতছাড়া হচ্ছে  ? আর্থিক সমস্যা থেকে চাকরি সমস্যা,  বিবাহিত জীবনে সমস্যা, সবকিছুর জন্যই বজরং বাণ পাঠ খুবই উপকারী।


বজরং বাণ পাঠের নিয়ম



  • বজরং বাণ পাঠ করতে হলে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান ও ধ্যান করতে হবে।

  • বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি স্থাপন করুন।  কুশের আসনে বসে বজরং বাণের সংকল্প করতে হয়।

  • এরপর হনুমানজিকে  ধূপ, প্রদীপ ও ফুল অর্পণ করে, পুজো করতে হয়।

  • রুদ্রাক্ষের জপমালা হাতে নিয়ে বজরং বাণ পাঠে বিশেষ উপকার।

  • পাঠের সময় শব্দের উচ্চারণে মনোযোগ দিন। লাড্ডু নিবেদন করুন নৈবেদ্য হিসেবে। 

  • বজরং বাণপাঠ করার সময় কিছু ভুল করা এড়ানো উচিত। 

  •  বজরং বাণ পাঠ শুধুমাত্র মঙ্গলবার শুরু করা উচিত। 

  • কমপক্ষে ৪১ দিন বজরং বাণ পাঠ করা দরকার। 


বজরং বাণ পাঠের সময় কী কী করবেন না



  • পাঠের সময় কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়।

  • লাল রঙের কাপড় পরে বজরং বাণ পাঠ করা ভাল। 

  • যত দিন  বজরং বাণ পাঠ করবেন, ততদিন আমিষ খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। 

  • বজরং বাণ পাঠের সময় ব্রহ্মচর্য পালন করতে পারলে ভাল।  

    ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।