কলকাতা : বুধবার। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া।  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। পুরাণ অনুসারে, আজকের দিনেই বোন যমুনার হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে অমরত্ব লাভ করেছিলেন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ৷ তখন থেকেই ভাইফোঁটার প্রচলনের শুরু । আবার কেউ বলেন, দৈত্য নরকাসুরকে বধ করার পর শ্রীকৃষ্ণর কপালে ফোঁটা দিয়েছিলেন বোন সুভদ্রা ৷ তখন থেকেই ভাইফোঁটার উৎপত্তি৷ কাহিনি যাই হোক না কেন উদ্দেশ্য তো একটাই ভাইয়ের মঙ্গলকামনা। আর তার জন্য এই দ্বিতীয় তিথিটিকে বেছে নেওয়ার পিছনেও আছে নানা ভাবনা। তবে একটি শুভ সময়েই ফোঁটা দেওয়া যায়। গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয়া তিথি। বুধবার দুপুর অবধি ফোঁটা দেওয়া যায় । বেণীমাধব শীলের ফুল পঞ্জিকা মতে, 



  • ২০২৩ সালে, ভাইফোঁটা উৎসব ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার এবং বুধবার ধরে পালিত হচ্ছে।

  • ২০২৩ সালে, ভাইফোঁটা অর্থাৎ দ্বিতীয়া তিথি ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টা বেজে ৩৬ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে এবং ১৫ নভেম্বর দুপুর ১টা বেজে ৪৭ মিনিট পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ ২ দিন ধরে ভাইফোঁটা উৎসব পালনের তিথি রয়েছে।

  • ২ দিনই ভাইফোঁটা দেওয়া যাবে। যদি ১৪ নভেম্বর ফোঁটা দিতে না পারেন, তাহলে পরেরদিন অর্থাৎ আজ ১৫ নভেম্বর দুপুর ১টা বেজে ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ফোঁটা দেওয়া যাবে।  

    ভাইবোনের খুনসুটি, ঝগড়া পেরিয়ে একটা দিন শুধুই আনন্দের। মিলনের।  মঙ্গলবার প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়েছে ফোঁটার রীতি। এরপর বুধবার সকাল থেকে আয়োজন শুরু হয়েছে সব জায়গায়।ব বাড়ি বাড়ি থেকে শাঁখের শব্দ, চন্দনের গন্ধ ।  আয়োজনে ব্যস্ত বোনেরা৷ দোকানে দোকানে মিষ্টি কেনার লম্বা লাইন৷  সব দোকানেই মিলছে ভাইফোঁটার জন্য তৈরি স্পেশাল মিষ্টি।  সাবেকি মিষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছে এক্সপেরিমেন্টের হিড়িক। আর বোনেরাও তৈরি ভাইয়ের পাতে সব কিছুর মধ্যে সেরাটা তুলে দেওয়ার জন্য। 

    আরও পড়ুন :                      
    কেন ভাইফোঁটার ছড়ায় আসে যম-যমুনার নাম? কেমন তাঁদের সম্পর্ক?


  • সারা ভারতে এক এক অঞ্চলে এক এক রকম ভাবে ভাইফোঁটা পালিত হয়
    পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গে, এই উৎসবটি কার্তিক শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা নামে পালিত হয়।
    মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রে এই উৎসব 'ভাউ বীজ' নামে পরিচিত।
    উত্তরপ্রদেশ: এখানে এটি ভাইদুঁজ নামে পরিচিত। বোনেরা তাঁদের ভাইদের কপালে তিলক লাগান এবং মিষ্টি খাওয়ান।
    বিহার: বিহারে ভাই দুজ গোধন নামেও পরিচিত। এখানে উদযাপনের ঐতিহ্য সম্পূর্ণ আলাদা। এই দিনে বোনেরা ভাইদের বকাঝকা করে, খারাপ কথা বলে। এরপর বোনেরা ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চান। তারপর বোন তাঁর ভাইকে তিলক দেয় এবং মিষ্টি খাওয়ায়।