কলকাতা: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) বা বুদ্ধ জয়ন্তী (Buddha Jayanti)। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, বৈশাখ (Baishakh) মাসের পূর্ণিমা (Purnima) তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আবার এই পবিত্র তিথিতেই তিনি তাঁর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং পরবর্তীকালে এই দিনেই মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তাই বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত।
মায়াদেবী এবং রাজা শুদ্ধধনের পুত্র গৌতম বুদ্ধ, নেপালের লুম্বিনী নগরে জন্মগ্রহণ করেন। বড় হয়ে ওঠেন কপিলাবস্তু নগরে। গৌতম বুদ্ধ ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক, যাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ ধর্ম।
বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথি ও সময় ২০২৩ সালে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছে ৫ মে, শুক্রবার। পূর্ণিমা তিথি শুরু ৪ মে, রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে এবং তিথি সমাপ্ত হবে ৫ মে, রাত ১১টা ০৩ মিনিটে। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও ঘটতে চলেছে এ দিনই। বিশ্বাস করা হয়, বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন গঙ্গা স্নান করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি মেলে। এই পবিত্র দিনে দান করাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি হিন্দুদের কাছেও এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দুধর্ম অনুসারে, শ্রী বিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে গণ্য করা হয় গৌতম বুদ্ধকে।
বৈশাখী পূর্ণিমায় ভগবান গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস, এই দিনেই গৌতম বুদ্ধ বোধগয়ায় বোধিবৃক্ষের নীচে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ এই দিনে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ভগবান বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তরা প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বোধগয়ায় আসেন। এ দিন বোধি বৃক্ষের পূজা করা হয়।
আরও পড়ুন, যত বেতন তার চেয়ে বেশি কাজ? আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে জেনে নিন আদৌ এই নিয়ম রয়েছে কি না!
এই দিনে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও। ওই দিন চন্দ্রগ্রহণ ৫ মে রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হবে। যা শেষ হবে মধ্যরাত ১টায়। বুদ্ধ পূর্ণিমায় একাধিক শুভ কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে। যা ৪ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শুভ হতে চলেছে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা অর্থ লাভ করবেন। কর্মজীবনে সাফল্য পাবেন তাঁরা।