নয়া দিল্লি: আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day)। তবে বিশ্বজুড়ে যখন কর্মী ছাঁটাইয়ের (Layoff) ঝড় উঠেছে বর বড় সংস্থায় সেই প্রেক্ষাপটে এখনও কর্মীদের 'শোষণ' করা হচ্ছে কোম্পানিতে, এমন অভিযোগ উঠছ। কখনও কারও বেতন বন্ধ করা হয়, আবার কখনো কাউকে শিফটের সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করানো হয়, অভিযোগ এমনটাই।
সংস্থার বেশ কিছু নিয়মনীতির কারণে কর্মচারীরা খুবই বিরক্ত হয়ে থাকেন। আপনিও যদি কোম্পানির এই ধরনের মনোভাব দেখে বিরক্ত হন, তাহলে আইন অনুযায়ী কী কী নিয়ম রয়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করতে তা জেনে নেওয়া যাক।
যদি একজন কর্মচারী নোটিস পিরিয়ড সার্ভ না করে?
কর্মচারীদের উপর নোটিস পিরিয়ড সার্ভ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কেউ যদি তা শেষ না করে তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। তবে দিল্লি হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট প্রেম যোশি বলছেন, কোম্পানি এই বিষয়ে কিছু করতে পারে না। অ্যাডভোকেট যোশি বলেন, 'যদি কর্মচারী নোটিশের মেয়াদ শেষ না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।' তবে হ্যাঁ, কর্মচারী যদি নোটিস পিরিয়ড শেষ করার কোন বন্ড বা চুক্তি স্বাক্ষর করে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মামলা করতে পারে সংস্থা।
বেতন না দিলে...
কোনও সংস্থা কোনও কর্মচারীর বেতন আটকে রাখলে বা বেতন দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যেতে পারে। যদি কর্মচারী কাজ করে থাকেন তবে তার নির্দিষ্ট বেতন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি সংস্থাটি বেতন না দেয়, তবে কর্মচারী সরাসরি রাজ্য সরকারের শ্রম আদালত বা জেলা আদালতে অভিযোগ করতে পারেন।
শিফটের চেয়ে বেশি কাজ করলে...
যদি কর্মচারীকে নির্দিষ্ট শিফটের চেয়ে বেশি কাজ করানো হয়, তবে কর্মচারীর এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, কর্মচারী সরাসরি শ্রম আদালতের পরিদর্শক বা কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।