কলকাতা: বসন্তে মেতেছে প্রকৃতি, ফাগুনের আমেজে মেতেছে । দোল না হোলির আগের দিন ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন উৎসব পালন করা হয়। এটি শুভ শক্তির জয় আর অশুভ শক্তির পরাজয়ের প্রতীক। প্রথা অনুযায়ী ন্যাড়াপোড়ার জন্য অনেকগুলি কাঠ জড়ো করা হয় এবং তার পর সেই কাঠের পুজো করে ন্যাড়া পোড়ানো হয়। উত্তর ভারতে এটিই হোলিকা দহন নামে পরিচিত। তবে মনে রাখতে হবে এই ন্যাড়া পোড়ায় কিন্তু সব কাঠ পোড়ানো যায় না।
ন্যাড়া পোড়ার জন্য অশ্বত্থ, শমী, আম, আমলকি, নীম, কলা, অশোক, বেল গাছের কাঠ ব্যবহার করবেন না। সনাতন ধর্মে এই গাছগুলিকে শুভ মনে করা হয়।
এই ন্যাড়া পোড়া হল অশুভ শক্তির বিনাশ। এদিন শুকনো ডাল, কাঠ এবং শুকনো পাতা জোগাড় করে সেগুলোকে স্তূপাকার করে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয়। যুগ যুগ ধরে এই রীতি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
তাই ন্যাড়া পোড়ার পর সবাই সেই ছাই শরীর ও কপালে ছোঁয়ায়। বিশ্বাস করা হয় যে, এতে অশুভ শক্তি ছায়া জীবনের ওপর পড়ে না। ন্যাড়া পোড়া হল মন্দের উপর ভালর জয়ের প্রতীক।
বাংলার বাইরে এই রীতি হোলিকা দহন নামে পরিচিত। এই রীতি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারত,নেপাল কিংবা পশ্চিম বাংলার বাইরে প্রচলিত। কোনও অশুভ শক্তিকে হারিয়ে, শুভ শক্তি জয়ের উদযাপন হল এই রীতির মূল উদ্দেশ্য।
শাস্ত্র মতে দুদিন পূর্ণিমা তিথি থাকলে প্রথম দিন যদি প্রদোষ কালে ভদ্রা মুক্ত সময়ে পূর্ণিমা পাওয়া যায়, তা হলে সে দিন হোলিকা দহন করা হয়। তার পরের দিন ২৫ মার্চ হোলি খেলা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ফাল্গুন চতুর্দশী তিথিতে ন্যাড়া পোড়ানো ও পূর্ণিমার দিনে দোল খেলা হয়। কিন্তু তিথি গোলযোগের কারণে উদয়া তিথি মেনে ভারতের অন্যান্য অংশের মতো ২৫ তারিখই দোল উৎসব পালিত হবে এবং ন্যাড়া পোড়ানো হবে ২৪ মার্চ।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভের কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যের উপর সম্পাদকীয় কোনও মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে