কলকাতা: আজ থেকে শুরু গণেশ চতুর্থী। (Ganesh Chaturthi) এই সময়েই শুরু হচ্ছে অনন্ত চতুর্দশী। পাশাপাশি রয়েছে গণেশ বিসর্জনের দিন। ২৮ সেপ্টেম্বর পড়েছে গণপতি বিসর্জনের দিন। তবে অনেকেই গণেশ চতুর্থীর তৃতীয় দিনে, পঞ্চম দিনে এবং সপ্তম দিনে গণেশ বিসর্জন দিয়ে থাকেন। সিদ্ধিদাতার পুজোর এই বিসর্জন রীতিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


অনেকে গণেশ পুজোর পরের দিনও ঠাকুর বিসর্জন করে থাকেন। এটি গণেশ বিসর্জন করার জনপ্রিয় দিনগুলির মধ্যে একটি। ভক্তরা বিকেলে গণেশ পূজা করে এবং মধ্যাহ্নের পরে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যায়। (festival)


বিকেলের মুহূর্ত - বিকেল ০৩:৩৪ থেকে ০৬:৩৭ 
সন্ধ্যার মুহূর্ত- ০৮:০৬ থেকে ১২:৩২ 
২১ সেপ্টেম্বর, ভোরের মুহূর্ত- ০৩:২৯ থেকে ০৪:৫৮


প্রতি বছর অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ১০ দিনব্যাপী গণেশোৎসবের পর গণেশ প্রতিমার বিসর্জন করা হয়। পুরাণ মতে মহর্ষি বেদব্যাস গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো শুরু করেন। লাগাতার ১০ দিন পর্যন্ত বেদব্যাস চোখ বন্ধ করে গণেশকে কাহিনি শোনান। বিশ্রাম না-করেই গণেশ মহাভারত লিখতে থাকেন। (Ganesh Chaturthi celebration) 


১০ দিন পর কাহিনি শেষ হওয়ায় বেদব্যাস চোখ খুললে, দেখেন একটানা লিখে যাওয়ার কারণে গণেশের শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় গণেশের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য বেদব্যাস তাঁকে পুকুরের জলে স্নান করান। এর পরই গজানন স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে পান। যে দিন গণেশকে স্নান করানো হয়, সেটি ছিল অনন্ত চতুর্দশী। সেই কারণে এই তিথিতে গণেশ মূর্তি বিসর্জন করা হয়।


বিসর্জনের নিয়ম


গণেশ বিসর্জনের সময় খেয়াল রাখুন যে গণেশজির শেষ পুজোয় যে যে সামগ্রী যেমন পান, সুপারি, মোদক, দুর্বা, নারকেল তাঁকে অর্পণ করেছিলেন সেগুলিকে গণেশজির মূর্তির সঙ্গে বিসর্জন দিয়ে দিন। নারকেল ফাটাবেন না, জলে ভাসিয়ে দিন। গণেশ মূর্তিকে ধীরে ধীরে বিসর্জন দিন। যদি ঘরে প্রতিমা বিসর্জন করছেন তাহলে মূর্তির থেকে বড় আকারের পাত্র নিন আর তাতে এতটাই জল দিয়ে ভরে রাখুন যাতে মূর্তি ভালো করে ডুবে যায়। এরপর পবিত্র জলটিকে কোনও গামলা বা পবিত্র গাছের শিকড়ের নীচে ফেলে দিন। এই জলে যেন কোনওভাবে পা না লাগে বা অশুদ্ধ যেন না হয়।