কলকাতা: রামভক্ত তিনি। তাঁর ভক্তদের প্রতি দয়ায় তিনি জীবনকে সুখে ভরিয়ে দিতে পারেন। যেখানে বজরঙ্গবলী যদি সদয় হন, সেখানে সম্পদের ভাণ্ডার কখনো শূন্য হয় না। কিন্তু তাঁর পুজোয় সামান্য ভুল বড় ঝামেলা ডেকে আনতে পারে। জেনে নেওয়া যাক হনুমান জয়ন্তীতে ভক্তদের কী কী ভুল এড়ানো উচিত?
খুব কম মানুষই জানেন যে সূতক সময়ে হনুমানের পুজো করা উচিত নয়। সূতক সময়কে বিবেচনা করা হয় যখন কোনও ব্যক্তির বাড়িতে মৃত্যু হয়।
হনুমানের পুজো করার সময় ব্রহ্মচর্য ব্রত খুব কঠোরভাবে পালন করতে হয়। বাল ব্রহ্মচারী হওয়ায় হনুমান নিজে নারীর স্পর্শ এড়িয়ে যেতেন। তাই পুজোর সময় নারীদের তার মূর্তি স্পর্শ করা উচিত নয়।
হনুমানের পুজো করেন এমন অনেকেই জানেন না যে তাঁর পুজোয় কখনো চরণামৃত ব্যবহার করা হয় না। এটি করার অনেক অশুভ পরিণতি হতে পারে।
হনুমানের পুজোয় ভাঙা বা খণ্ডিত মূর্তি ব্যবহার করবেন না। ঘরে হনুমানের কোনও ছেঁড়া ছবি থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন কালো বা সাদা পোশাক পরে হনুমানের পুজো হয় না। এমনটা করা খুবই অশুভ। বজরঙ্গবলীর পুজোয় শুধুমাত্র লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরুন।
আরও পড়ুন, সাড়ে সাতি থেকে কালসর্প, জীবনের সব সঙ্কট মোচন করতে মঙ্গলবারে মেনে চলুন এই নিয়ম
হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, শ্রী বিষ্ণুর রাম অবতারের সময় সহযোহিতা করার জন্য রুদ্রাবতার বজরঙ্গবলীর জন্ম হয়েছিল। মঙ্গলবার তাই সারাদেশে সকল ভক্তরাই ধুমধাম করে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। হনুমান জয়ন্তীর দিন সরষের তেলে সিঁদুর মিশিয়ে প্রথমে বজরঙ্গবলীকে লাগান। এরপর বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ঘরের দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ABPLive.com এমন কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।