রাম নবমীর পরেই আসতে চলেছে হনুমান জয়ন্তী। রাম নবমীর পরে যে পূর্ণিমা তিথি পড়ছে, সেদিনই পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। বিশ্বাস করা হয়, হনুমানজির কৃপা দৃষ্টি যাঁর উপর একবার পড়ে, তাঁর জীবন বদলে যেতে যে সময় লাগে না। হিন্দু ধর্মে এমন কিছু মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পাঠ করা শুরু করলে নাকি হনুমানজি জাগ্রত হয়ে ওঠেন। এই শক্তিশালী হনুমান মন্ত্রটি জপ করতে ভুললে চলবে না। 'ওম হং হনুমতে নমঃ। ওম হং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হুং ফট' এই মন্ত্রটি রোজ পাঠ করতে ১১ বার। 


এবার হনুমান জয়ন্তী পড়েছে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে বৈশাখ মাসে। ইংরিজি  ক্যালেন্ডার অনুসারে হনুমান জয়ন্তী ২৩এপ্রিল, মঙ্গলবার। পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে রাত ৩.২৫ থেকে। পরদিন ২ ৪ তারিখে ভোর ৫.১৮ অবধি স্থায়ী হবে। এই দিনে, ভক্তরা সিঁদুর, লাল পোশাক, ফুলের মালা, গোলাপ, লাডু, হালুয়া এবং কলা দিয়ে হনুমান জির পুজো করলে সুফল লাভ হতে পারে। । বিভিন্ন শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হচ্ছে এদিন। কয়েকটি রাশির জাতকরা হনুমানজির প্রিয়, তাঁরা অতি সহজেই তাঁর আশীর্বাদ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা।   


মেষ রাশি - জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মেষ রাশির জাতকরা হনুমানের বড় প্রিয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ মেলে সহজে। মেষ রাশির জাতকরা হনুমানের পুজো করলে সঙ্কটমোচন তো হয়ই , সেই সঙ্গে অনেক খারাপ অভ্যেস ছেড়ে দিত পারেন। 


সিংহ রাশি- হনুমানজি সিংহ রাশির জাতকদের প্রতি বিশেষ সদয়। এই রাশির জাতক জাতিকাদের হনুমানজির পুজো করা দরকার। হনুমানজির পুজোয় সিংহ রাশির বহু কষ্ট দূর হয়। সচরাচর অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় না। বাড়িতে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। 


কুম্ভ রাশি  - কুম্ভ রাশির মানুষও নিয়মিতভাবে হনুমান জির পুজো করলে বিশেষ উপকার পাবেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে,  কর্মের সুফল লাভ করতে গেলে,  কোনো শর্ট রুট নিলে হবে না।   তবে কোনও কারণে সমস্যা এলে হনুমান জির শরণ নিলে , তা তাড়তাড়ি মিটে যাবে। 


ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)