কলকাতা: হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) উত্সব ২৩ এপ্রিল পালিত হবে। হনুমান জয়ন্তীর দিন, ভগবান হনুমানকে পূর্ণ আচারের সঙ্গে পুজো করা হয়। এই দিন ভগবান হনুমানকে খুশি করার জন্য মানুষ নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 


হনুমানজির পুজো করে শনিদেবও প্রসন্ন হন। কুণ্ডলীতে শনি দোষ থাকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হনুমান জয়ন্তীর দিনটি খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। জেনে নেই শনি দোষ থেকে মুক্তি পেতে এই দিনে কী কী ব্যবস্থা নিতে পারেন।  


হনুমান জয়ন্তীতে শনিদোষ থেকে মুক্তি পেতে কিছু উপায় করুন হনুমান জয়ন্তীর দিন শুভ সময়ে সুন্দরকাণ্ড, হনুমান চালিসা ও শনি চালিসা পাঠ করতে হবে। এটি শনি দোষ থেকে মুক্তি দেয়। এই দিনে হনুমানজির পুজো কালো তিলের তেল ও নীল ফুল ব্যবহার করলেও শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। 


হনুমান জয়ন্তীর দিন একটি গরুকে খাওয়ালে এতে শনির অশুভ প্রভাব কমে যায়। এই দিনে গরুকে ধূপ দিয়ে আরতি করতে হবে। ঘি ভর্তি রুটি ও মিষ্টি খাওয়াতে হবে।


হনুমান জয়ন্তীর দিন সূর্যাস্তের পর শনিদেবের পুজো করা উত্তম। এই দিন সন্ধ্যায় বট ও অশ্বত্থ গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে দুধ ও ধূপ ইত্যাদি নিবেদন করতে হবে। এর পর হাত গুটিয়ে শনি দোষ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করুন।


এই দিনে রুদ্রাক্ষের জপ দিয়ে যেকোনো একটি শনি মন্ত্রের অন্তত পাঁচটি জপ জপ করতে হবে। এতে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং তাকে সুখ ও সম্পদের আশীর্বাদ করেন।


হনুমান জয়ন্তীর দিন শনিদেবকে খুশি করতে কালো কাপড়ে  ১.২৫ কেজি ডাল, দুটি লাড্ডু, ফল, কালো কয়লা ও লোহার পেরেক দান করুন। 


হনুমান জয়ন্তীর দিন বানর ও কালো কুকুরকে লাড্ডু খাওয়ানোও শনি দোষ থেকে মুক্তি দেয়। এই দিনে কালো ঘোড়ার নালের তৈরি আংটি বা নৌকায় লাগানো পেরেক পরলে উপকার পাওয়া যায়।                                               


আরও পড়ুন, পুজো তো করেন, কিন্তু কতক্ষণ ঠাকুরের সামনে প্রসাদ রাখা উচিত?



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে