কলকাতা : মঙ্গলবার দিনটি বজরঙ্গবলীর ( Bajrangbali ) পুজোর জন্য প্রসিদ্ধ। সপ্তাহের দুটি দিন হনুমান ( Hanuman Ji ) মন্দিরে ভিড় করেন ভক্তরা।  কেন শনিবার ও মঙ্গলবারই শ্রী হনুমান মন্দিরে উপাসকরা ভিড় করেন? 


কেন শনিবার ও  মঙ্গলবারই হনুমানের পুজো ?


শনি দেবতার রোষের প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ভক্তরা শনিবার ভগবান হনুমানের পুজো করেন। আর মঙ্গলবার হনুমান পুজোর সর্বোত্তম দিন। হনুমানকে ভগবান শিবের অবতার হিসেবে গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে,  চৈত্র মাসের এক মঙ্গলবারেই, পূর্ণিমার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই ভক্তরা মঙ্গলবার শ্রী হনুমানকে নৈবেদ্য দিয়ে থাকেন।


মঙ্গলবার এবং শনিবার ভগবান হনুমানের উপাসনার তাৎপর্য খুঁজত গেলে অনেকগুলি কাহিনি জানা যায়। লৌকিক কাহিনি অনুসারে, লঙ্কার রাক্ষস রাজা রাবণ এতটাই শক্তিশালী হয়েছিলেন যে তিনি গ্রহগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। রাবণ তার পুত্র মেগনাদের জন্মের সময় তাঁর জন্মকুণ্ডলীকে অত্যন্ত প্রভাবশালী করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে অমর হোক।  মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিতের জন্মকুণ্ডলী যাতে ভাল হয়, তার জন্য গ্রহদেবতা শনিকে আটকে রেখেছিলেন শনিদেব।   সেই সময় হনুমান লঙ্কায় রাম-পত্নী সীতাকে খুঁজছিলেন।  তখন তিনি শনি দেবতার আর্তি শুনতে পান। হনুমান শনিদেবকে সাহায্য করেন। শনি দেবতা তখন প্রতিজ্ঞা করেন, যদি কেউ শনিবারে ভগবান হনুমানের পুজো করে, তাহলে তাহলে সে শনির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে।


মঙ্গলবার সূর্য ওঠার আগেই হনুমান জির  পুজো করতে পারলে ভাল।  বজরঙ্গবলীকে লাল ফুল, সিঁদুর, লাল পোশাক ইত্যাদি নৈবেদ্য নিবেদন করতে হবে। এরপর কলা, গুড় ও ছোলা নিবেদন করতে হবে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে