দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম সন্তান কৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কংসের কারাগারে মথুরায় জন্ম হল শ্রীকৃষ্ণের। কংসরাজ জানতেন দেবকীর এই সন্তানের হাতেই তাঁর মৃত্যু লেখা। দেবকী-বাসুদেব জানতেন, এই সন্তান জন্মানোর খবর পেলেই কংস ছুটে আসবেন, তাঁদের অষ্টম সন্তানকে হত্যা  করবেন। কংসের প্রাণাধিক প্রিয় ছিল তাঁর বোন ও ভগ্নি-পতী । কিন্তু, তাঁদের অষ্টম পুত্রই তাঁর মৃত্যুর কারণ হবে, এই ভবিষ্যবাণী শোনামাত্রই  তাঁদের সব সন্তানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন কংস। অষ্টম সন্তান, অর্থাৎ কৃষ্ণের জন্মের সময় দেবতার মায়ার খেলায় গোটা রাজ্য ঘুমিয়ে পড়েছিল। বাসুদেব গোপনে সেই সন্তানকে বৃন্দাবনে রেখে আসেন নন্দরাজের স্ত্রী যশোদার কাছে। পরিবর্তে সেই রাত্রেই  জন্মানো এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে আসনে বাসুদেব ও দেবকী। তার পরের গল্পটা অনেকেরই জানা। তাই জন্মাষ্টমীর এই মধ্যরাতের সময়টুকু খুব-খুব গুরুত্বপূর্ণ। 



  • আজ সোমবার রাত ১২ টা ০৫ থেকে ১২ টা ৫১ র মধ্যে শ্রীকৃষ্ণকে অর্চনা করার শ্রেষ্ঠ সময়। 

  • যাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে বিশেষ কিছু অর্পণের কথা ভাবছেন, তাঁরা রাত ১২ . ২৮ এ নিবেদন করুন। খুব ভাল সময় । 

  • শ্রীকৃষ্ণকে এলাহি আয়োজন করে পুজো করতে না পারলেও, অর্পণ করিন মিষ্টি, মাখন, মিছরি

    পুজো সারুন এইভাবে
    স্নান  সেরে,  পরিষ্কার কাপড় পরে পুজো করুন। রাতে শ্রী কৃষ্ণের জন্য দোলনা সাজিয়ে  নিন। তার আগে জায়গাটি  গঙ্গাজলে শুদ্ধ করুন। এইদিন রাতে গোপালের মূর্তির অভিষেক করতে পারেন পঞ্চামৃত দিয়ে। ঘি, মধু, দুধ, দই এবং গঙ্গাজল মূর্তিতে ঢেলে স্নান করান। স্নান করানোর পরই গোপালকে নতুন জামাকাপড় ও ফুল - মালায় সাজান। চন্দনের টিপ পরান। ময়ূরের পালক নিদেবন করুন। তুলসী পাতা ও ফুল দিন। এরপর নৈবেদ্য দেওয়ার পালা। ফল, মিষ্টি, মাখন, মিছরিতে সাজিতে দিন । থালা। গোপালের আরাধনার গান গেয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট করুন। 

    ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।  

    আরও পড়ুন :                          


  • রোহিণী নক্ষত্রে ৩ শুভ যোগ ! খুলে যাবে ৫ রাশির ভাগ্য, জন্মাষ্টমী হোক আপনারই দিন