নয়া দিল্লি: হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বছরে ১২টি অমাবস্যা হয়। সকল অমাবস্যারই নিজস্ব তাৎপর্য আছে কিন্তু জ্যেষ্ঠ অমাবস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কারণ এই দিনে বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বট সাবিত্রীর উপবাস করেন।


জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যায়ও শনি জয়ন্তী পালিত হয়। অমাবস্যা তিথির অধিপতি হলেন পিত্র, এমন অবস্থায় জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যায় স্নান, দান ও উপবাস করলে শনিদেব, বিষ্ণু এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যার তারিখ, শুভ সময় এবং গুরুত্ব।


এই বছর জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যা ১৯ মে ২০২৩, শুক্রবার। এই দিনে পবিত্র জলে স্নান এবং উপবাস করার প্রথাও রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় এর দ্বারা সাত জন্মের পাপ ধুয়ে যায় এবং পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।



জ্যেষ্ঠ অমাবস্যা শুভ মুহূর্ত


পঞ্চাঙ্গের জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যা তিথি ১৮ মে, ২০২৩ এ রাত ৯.৪২-এ  শুরু হবে এবং ১৯ মে ২০২৩-এ রাত ৯.২২ টায় শেষ হবে।


স্নানের সময় - সকাল ৫.১৫ থেকে পরের দিন সকাল ০৪.৫৯ পর্যন্ত
বট সাবিত্রী পুজো মুহূর্ত- সকাল ০৫.৪৩ থেকে সকাল ০৮.৫৮ পর্যন্ত 
শনিদেব পুজো মুহূর্ত- সন্ধ্যা ০৬.৪২- রাত ০৭.০৩ (শনিদেবের পুজো সূর্যাস্তের পরে ফলপ্রসূ হয়)



জ্যেষ্ঠ অমাবস্যার তাৎপর্য 


জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নানের পর ঘাটেই তর্পণ করে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃপ্ত হয়। এর প্রভাবে সাধকের জীবনে আসে অপার সুখ। এই দিনে, শনিদোষ এড়াতে, উপবাস অবস্থায় পিপল গাছের নীচে বসে শনি মন্ত্র জপ এবং ১০৮টি গাছের পরিক্রমা করার রীতি রয়েছে। এই দিনে মহিলারা বটবৃক্ষের পূজা করে এবং তাদের স্বামী ও সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করে।


জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যা পুজো পদ্ধতি



  • এই দিনে নদী, জলাশয় বা পুল ইত্যাদিতে স্নান করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন এবং প্রবাহিত জলে তিল প্রবাহিত করুন।

  • পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য, পিন্ড দান করুন এবং কোনও গরীবকে দান করুন।

  • শনিদেবকে সরিষার তেল, কালো তিল, কালো কাপড় এবং নীল ফুল অর্পণ করুন। শনি চালিসা জপ করুন।


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।