কলকাতা : ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকুক, এটাই প্রতিটি মানুষের কামনা। ' আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে '- বহু মানুষেরই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা এই টুকুই। এর জন্যই মানুষ পুজো (puja) করেন, নানা ব্রত পালন করেন ও মাঝেমধ্যে উপবাস করেন। তবে কঠিন নিয়ম-কানুন ছাড়াও, পণ্ডিতরা কিছু সহজ নিয়মের কথা বলে থাকেন, যা করলে সৌভাগ্য (prosperity) আসে ঘরে। মনে রাখতে হবে, শুক্রবার সূর্যাস্তের পর কিছু কাজ করলে জীবনে মা লক্ষ্মীর (Ma Lakshmi) আশীর্বাদ বর্ষণ হয়।
শুধু বৃহস্পতিবার নয়, শুক্রবারও দেবী লক্ষ্মীর পুজো করার ভাল দিন। দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য এই দিনটি শুভ বলে মনে করা হয়। কেউ যদি চান, তাঁর ঘর ধন-সম্পদে ভরে উঠুক এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকুক, তাহলে শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার পাশাপাশি সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কাজ করতে হবে। এতে সব সমস্যা দূর হবে বলে অনেকের বিশ্বাস।
শুক্রবার সূর্যাস্তের পর এই রীতিগুলি মেনে চলুন :
- শুক্রবার সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মূল দরজায় ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। এই রীতি অনুসরণ করলে গৃহে দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটে এবং অর্থনৈতিক অবস্থাও উন্নত হয়।
- শুক্রবার সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাতটি প্রদীপ জ্বালিয়ে উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। এছাড়াও প্রদীপে এক চিমটি জাফরান দিতে পারেন। শুক্রবার এই রীতি অনুসরণ করলে ধন-সম্পদ সংক্রান্ত যাবতীয় বাধা দূর হয়। যদি কারও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুঃসময় চলতে থাকে, তাহলে তার সুরাহা হয়।
- এই দিন সন্ধেয়, পরিবারের সকলের সঙ্গে মা লক্ষ্মীর আরতি করুন এবং মা লক্ষ্মীকে সাদা রঙের মিষ্টি বা ক্ষীর নিবেদন করুন। এতে মা লক্ষ্মী খুব খুশি হন বলে পণ্ডিতদের বিশ্বাস।
- এই দিনে কিছু ধার দেওয়া এবং ধার নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে সূর্যাস্তের পর কাউকে কিছু ধার দেবেন না বা ধার দেবেন না। দুই ক্ষেত্রেই আর্থিক সমস্যা দেখা দেয় এবং ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। সূর্যাস্তের পর কোনও কিছুর প্রয়োজন হলে নিজের টাকা দিয়েই কিনুন।
- সূর্যাস্তের পর ঘরের কোনও কোণে যেন অন্ধকার না থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে বাড়ির প্রধান দরজা, পুজোর ঘর, রান্নাঘর এবং উঠোনে আলো জ্বালিয়ে রাখুন। ঘর অন্ধকার করে রাখলে নেতিবাচক শক্তি ঘরে ধেয়ে আসে।
দাবিত্যাগ: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ABPLive.com কোনো ধরনের স্বীকৃতি, তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।