কলকাতা : আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024)। যা এরাজ্য-সহ দেশজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হবে। এই উৎসব ফসল কাটা এবং সূর্য-শনির সঙ্গে জড়িত। মকর সংক্রান্তির দিনে তিল সংক্রান্ত কিছু কাজ করে আপনি আপনার শুয়ে থাকা ভাগ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারেন। এটি তিল সংক্রান্তি নামেও পরিচিত। মকর সংক্রান্তিকে উত্তরায়ণও বলা হয়। কারণ, এর পর সূর্য উত্তর দিকে চলে যায়।


তিল ছাড়াও গুড় ও খিচুড়ি খাওয়া ও দান করারও গুরুত্ব রয়েছে এই দিনে। এই তিনটি জিনিস ছাড়া মকর সংক্রান্তির উৎসব অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক- মকর সংক্রান্তিতে তিল, গুড় ও খিচুড়ি খাওয়া ও দানের গুরুত্ব কী।


মকর সংক্রান্তিতে খিচুড়ি ব্যবহার করলে নবগ্রহের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং আরোগ্য লাভের আশীর্বাদও পাওয়া যায়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে খিচুড়িতে যে পদার্থ যোগ করা হয় তা নয়টি গ্রহের সঙ্গে যুক্ত।



  • ভাত- খিচুড়িতে ভাত গুরুত্বপূর্ণ, যা চন্দ্র ও শুক্রের শুভ লাভ পেতে উপকারী।

  • ঘি- ঘি ছাড়া খিচুড়ি অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। সূর্য ঘি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মাধ্যমে সূর্যের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

  • হলুদ - হলুদ বৃহস্পতির প্রতিনিধিত্ব করে।

  • কালো ডাল - খিচুড়িতে যোগ করা কালো ডাল শনি, রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব হ্রাস করে।

  • মুগ ডাল - মকর সংক্রান্তিতে অনেকেই মুগ ডাল, সবুজ শাক-সবজি এবং চালের মিশ্রণ দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করে। মুগ ডাল এবং সবুজ শাক-সবজি বুধের সঙ্গে সম্পর্কিত।

  • গুড়- খিচুড়ির সঙ্গে খাওয়া গুড়কে মঙ্গল ও সূর্যের প্রতীক মনে করা হয়।


বিশেষ করে মকর সংক্রান্তিতে কালো তিল ও গুড় বা তা থেকে তৈরি জিনিস দান করলে শনিদেব ও সূর্যদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কালো তিল শনির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং গুড় সূর্যের প্রতীক। মকর সংক্রান্তিতে, সূর্য দেবতা তাঁর পুত্র শনির রাশি মকর রাশিতে প্রবেশ করেন। তাই এই দিনে গুড় খাওয়া এবং দান করলে সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং সূর্যের কৃপায় কর্মজীবনে সুফল পাওয়া যায়।


গুড় ও তিলের উষ্ণতা বৃদ্ধির গুণ রয়েছে। দু'টি জিনিসই ঠান্ডার প্রভাব থেকে রক্ষা করতে উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই এগুলি খেলে শরীরে উষ্ণতা পাওয়া যায়।


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।