কটক: পুরীর নীলমাধবের রত্নভাণ্ডার।  দ্বাদশ শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরকে ঘিরে কত কিংবদন্তি,কত কাহিনি। তেমনই নানা গল্পে মোড়া ভগবান জগন্নাথের রত্ন ভান্ডার । যার রুদ্ধদ্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে কত না রহস্যের গল্প শুনেছেন পর্যটকরা। বিষাক্ত সাপ নাকি পেঁচিয়ে রেখেছে ধন সামগ্রীকে। এমন সব রত্ন আছে সেখানে, যাতে দেখলেই নাকি ঝলসে যেতে পারে চোখ। সাড়ে চার দশক পর বছর পর রবিবার ৭ জুলাই শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে মাহেন্দ্র ক্ষণে খোলা হল দরজা। 


কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ জানালেন, কোষটি পুনরায় খোলার আগে, দেবী বিমলা, দেবী লক্ষ্মীর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।  তিনি কোষাগারের মালিক । সবশেষে ভগবান লোকনাথের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।  যিনি এই রত্নাগারের তত্ত্বাবধায়ক।  রাজ্য সরকারের ১১ জন কর্মকর্তার একটি দল মন্দিরের কোষাগারে প্রবেশ করেন এদিন।  তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই মূল্যবান জিনিসপত্র সংগ্রহ করবে না। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃত্বে আছেন 'পুরীর রাজা' দিব্যসিংহ দেব।  


জানা গিয়েছিল পুরীর দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরে রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষটিকে ঘিরে রেখেছে সাপ। সেই মোতাবেক সর্প বিশেষজ্ঞ নিয়েই প্রবেশ করেছিল কমিটির লোকেরা।  সেখানে যদিও সাপ দেখা যায়নি। টাইমসঅফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে,   বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সাপ বিশারদদের নিয়ে ঢুকছিল দলটি। দরজা খুলতেই উড়ে আসে অসংখ্য বাদুড়। এত বাদুড় এভাবে বেরতে দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান।  নিউজ ১৮ এ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে,  ওড়িশা ম্যাগাজিন অনুসারে, রাজা অনঙ্গভীম দেব সর্বশক্তিমানের জন্য গহনা প্রস্তুত করতে ২.৫ লক্ষ ভরি সোনা দান করেছিলেন। সে-সবও থাকতে পারে সেখানে। ওডিশা রিভিউ ম্যাগাজিনের ২০২২ সালের নিবন্ধ অনুসারে, এই ভাণ্ডারে ১৮০ ধরনের অলঙ্কার রয়েছে। তার মধ্যে ৭৪ ধরনের খাঁটি সোনার অলঙ্কার রয়েছে। দেবতাদের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না এমন মূল্যবান জিনিসগুলিই সেখানে রাখা থাকে।  এই রত্নভাণ্ডার, এই ঐশ্বর্য, এই মন্দিরের প্রতি কোটি কোটি ভক্তের ভক্তির পরিচায়ক।  জানা যাচ্ছে, সোনা, হীরে, প্রবাল ও মুক্তা দিয়ে তৈরি নানা রকম গয়না রয়েছে। এছাড়াও আছে রুপোর গয়নার বিপুল ভাণ্ডার। এছাড়া এই ভাণ্ডারে আছে সোনা রুপো ও তামার মুদ্রা। 


আরও পড়ুন : 


সোমবার থেকেই শনির প্রকোপে কোন রাশি, কোন রাশির অর্থের ঝনঝনানি? এই সপ্তাহের রাশিফল