প্রত্যাশা মতোই অযোধ্যা রাম মন্দিরে এক আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকল সারা পৃথিবী। রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২ টার সময় এসে পড়ল সূর্যের আলো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সৃর্যের আলো পৌঁছে গেল রামলালার ললাটে। এঁকে দিল সূর্যতিলক। সূত্রের খবর, প্রতি রাম নবমীর দুপুরেই সূর্যের আলোর একটি রশ্মি সরাসরি রামলালার মূর্তির কপালে এসে পড়বে। আর এই কাজ সম্ভব হবে বহু বিজ্ঞানীর অক্লান্ত গবেষণায়। কারণ সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করার এই যে উপায়, তা কিন্তু খুব সরল নয়। বহুদিনের গবেষণার ফল। দেখুন ভিডিও।
অযোধ্য়ায় বুধবার মহামস্তকাভিষেক হল রামলালার। দুপুর ১২ টা বেজে ১৫ মিনিটে রামলালার কপালে তিলক আঁকা হয় সূর্যতিলক । একাধিকবার ট্রায়ালের পর, মহামস্তকাভিষেকের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় এই সময়। গত ২০ বছরে পৃথিবীর গতিবিধি অনুযায়ী অযোধ্যার আকাশে সূর্যের সঠিক দিক নির্ধারণ করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর, মন্দিরের উপরের অংশে আয়না বসানোর স্থান ও কোণ নির্দিষ্ট করা হয়।
দীর্ঘ আলোচনার পর রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা রামলালার কপালে সূর্য তিলক সাজানোর উদ্যোগ নেন। সূর্যের রশ্মি রামলালার কপালে পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কোথাও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে অপ্টোমেকানিকাল সিস্টেমের আওতায় থাকা উচ্চমানের আয়না ও লেন্স। সূর্যরশ্মি প্রথমে পড়ে মন্দিরের উপরের স্তরে বসানো আয়নায়। এরপর তিনটি লেন্সের মধ্যে দিয়ে গিয়ে সেই রশ্মি প্রতিফলিত হয় দ্বিতীয় স্তরে রাখা আয়নায়। এরপর রামলালাক কপালে তৈরি হয় ৭৫ মিলিমিটারের তিলক, যা স্থায়ী হয় প্রায় ৪ মিনিট পর্যন্ত।
বুধবার যাঁরা মন্দিরে ছিলেন না, সেই কোটি কোটি ভক্তের জন্য সূর্যতিলক দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রসারভারতী। সারা দেশে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে রামলালার সূর্যতিলক রীতি। জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই এভাবে মহামস্তকাভিষেক হবে রামলালার।
বুধবার রামনবমীতে অযোধ্যা জুড়ে মহোৎসব। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন সরযূর তীরে। অনেকেই পুণ্যস্নান করে দিন শুরু করেছেন। রাত থাকতেই শুরু হয়েছে রামনবমীর স্নান। এদিন সারা অযোধ্যা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তায়। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে বহু আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়। এদিন দর্শনের সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটা।
আরও পড়ুন, লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড আসনে জয় বিজেপির? কত আসন পেতে পারে কংগ্রেস? কী বলছে সমীক্ষা?