অযোধ্যা : অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকেই সারা পৃথিবীর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সরযূর পাড়ে। সামনের সপ্তাহে রাম নবমী। এদিন বহু মানুষই রামলালার দর্শনে যাবেন। আবার বহু জন দূরদর্শনেই দেখবেন রাম লালাকে। এদিন সারা পৃথিবী এক আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকবে। রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২ টার সময় এসে পড়বে সূর্যের আলো। যা ললাটে এঁকে দেবে সূর্যতিলক। সূত্রের খবর, প্রতি রাম নবমীর দুপুরেই সূর্যের আলোর একটি রশ্মি সরাসরি রামলালার মূর্তির কপালে এসে পড়বে। আর এই কাজ সম্ভব হবে বহু বিজ্ঞানীর অক্লান্ত গবেষণায়। কারণ সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করাতে হবে রামলালার কপালে। আবার ওই নির্দিষ্ট সময়েই ।
এই পরিকল্পনা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছিল মন্দির নির্মাণ কালেই। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হিন্দু ক্যালেন্ডারে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল। তাই প্রতি বছর এই দিনে রাম নবমীর উৎসব পালিত হয়। কিন্তু প্রতি বছর তো সূর্য একই অবস্থানে থাকবে না। কারণ হিন্দু ক্যালেন্ডারে তিথি বদলায়। প্রতিবছর রাম নবমী এক তারিখে পড়ে না। তাই এই কাজ খুবই কঠিন। এবার কীভাবে সূর্যের আলো ওই সময়ে রামলালার ললাটে এসে পড়বে, তার পরীক্ষাও করা হয়েছে। ১৭ এপ্রিল, ঠিক দুপুর ১২ টায় রামলালার সূর্য তিলক হবে। এ জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সূর্য তিলক নিয়ে অবশেষে সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, Central Building Research Institute (CBRI) এর বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন। দুপুর ১২টায় মন্দিরের উপরের তলায় ইনস্টল করা একটি আয়নায় সূর্যের আলো পড়লে তা নির্দিষ্ট। পদ্ধতিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে এসে রামলালার কপালে এসে পড়বে। পাইপের অন্য প্রান্তে দ্বিতীয় আয়না রাখা হবে। এই আয়না ব্যবহার করে সূর্যের রশ্মিকে আবার প্রতিফলিত করানো হবে। এর পরে এটি পিতলের পাইপের সাহায্যে আবার ৯০ ডিগ্রিতে প্রতিফলিত করানো হবে। নিউজ নেশন নামে এক সংবাদমাধ্যমে দাবি, এতে আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীদেরও অবদান আছে।
জানা গিয়েছে, মাত্র ৪ মিনিটের জন্য থাকবে এই তিলক। সূর্যের আলোর তিলক পরবেন রামলালা। প্রসার ভারতী এর লাইভ টেলিকাস্ট করবে। এদিনের জন্য অযোধ্যায় ১০০ টিরও বেশি জায়গায় এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে।
আরও পড়ুন :
এবার কোন ইস্যু নির্ণয় করবে পাহাড়ের ভোট-ভাগ্য? ১৫ বছরের জয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবে BJP?