অযোধ্যা: অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে এ বছর প্রথম রামনবমী। রামের জন্মোৎসব। আর সেই উপলক্ষ্যে এখন থেকেই সরযূর পাড়ে সাজো সাজো রব। লক্ষ লক্ষ ভক্ত একেকদিন পা রাখবেন রামলালাকে দেখতে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। রামলালার অভিষেকের পর থেকেই দেশ বিদেশ থেকে অযোধ্যামুখী হচ্ছেন রামভক্তরা। ১৭ এপ্রিল রাম নবমী। তাই তার আগে থেকেই তোরজোড় অযোধ্যানগরীতে। রাম জন্মোৎসব উপলক্ষে বসছে বিরাট মেলা। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে রাম নবমী মেলা। হাতে আর মাত্রই কয়েকটা দিন। যত দিন এগোবে , ততই বাড়বে জনজোয়ার, ধারণা এমনটাই। 


রামনবমী মেলা চলাকালীন যেহেতু ভিড় বেশি হবে, তাই দর্শনের সময় বাড়ানোর আর্জি আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষত রাম নবমীর দিন সারাদিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টাই মন্দির খোলা রাখার আবেদন করেছেন বহু  ভক্ত। আর্জি, ওই সময় তিন দিন রামলালাকে ২৪ ঘণ্টাই জাগিয়ে রাখা হোক। তবে ৫ বছরের শিশুরামচন্দ্রকে এভাবে জাগিয়ে রাখা যাবে কি না , তা নিয়ে ভাবছেন সাধুরা ও মন্দিরের ট্রাস্ট। 


পূজারী ও সন্ন্যাসীদের অনেকেই মনে করছেন, রাম লালা হলেন রামচন্দ্রের শিশুরূপ। তাঁকে এভাবে বিশ্রাম না দিয়ে জাগিয়ে রাখার কোনও বিধান নেই। এই প্রসঙ্গে  শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, রাম নবমীতে তিন দিন একটানা ২৪ ঘণ্টা মন্দির খোলার বিষয়ে সাধুদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হচ্ছে। 


৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে রাম নবমী মেলা। ৫০ লাখেরও বেশি ভক্ত অযোধ্যায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এত ভিড় সামলাতেই মন্দির সবসময় খোলা রাখার কথা উঠছে।  এখন মন্দিরটি  দিনে ১৪ ঘন্টা খোলা থাকে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ ভক্তের সমাগম হয় রামলালার দরবারে। জেলা প্রশাসন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে অষ্টমী, নবমী এবং দশমী তিথিতে ২৪ ঘন্টা রাম মন্দির খোলার জন্য আবেদন করেছে। ট্রাস্ট সাধুদের পরামর্শ নিচ্ছে। মন্দির চব্বিশ ঘণ্টা খোলা নিয়ে অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত সন্ন্যাসীরা। 


পূজারীদেন অনেকেরই অভিমত, রামলালাকে ঘুমাতে না দেওয়া শাস্ত্র অনুসারে ঠিক নয়। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইও বলেছেন, রামলালা পাঁচ বছরের বালক রূপে প্রতিষ্ঠিত।  তাঁকে ২৪ ঘন্টা জাগিয়ে রাখা ঠিক নয়। আলোচনার পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।