কলকাতা : রামকৃষ্ণলোকে পাড়ি দিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smarananandaji Passes Away)। বহু ভক্ত চোখের জলে বিদায় দিয়েছে গুরু-মহারাজের নশ্বর দেহকে। বহু রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ অনুগামীকে দীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দেহত্যাগে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে ভক্তমহল। মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঠে জড়ো হন বহু ভক্ত ও অনুগামীরা।
ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের মহাপ্রয়াণের পর ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের বিশেষ পুজোর ( Bhandara of Srimat Swami Smarananandaji Maharaj) আয়োজন করেছে বেলুড় মঠ। সেই সঙ্গে ভক্তদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ভাণ্ডারা। আগামী রবিবার , ৭ এপ্রিল স্বামী স্মরণানন্দের স্মরণে বিশেষ ভাণ্ডারার আয়োজন করেছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। বেলুড় মঠে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন হবে। সেদিন বহু ভক্তের সমাগম হতে পারে মঠ প্রাঙ্গণে। যে সব ভক্তরা এই ভাণ্ডারা ও পুজোর জন্য প্রণামী পাঠাতে চান, তাঁরা পাঠাতে পারেন অনলাইনেই। বেলুড় মঠের ওয়াবসাইটে গিয়ে Daily worship (Thakur Seva) বিভাগে এই প্রণামী পাঠাতে হবে। ক্লিক করতে পারেন সরাসরি https://media.belurmath.org/ -এ । এখানে গিয়ে ডোনেশন পেজে যেতে পারেন।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মহারাজ। স্বামী স্মরণানন্দের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর প্রয়ানে শেষ হল একটি যুগের। গত ২৭ মার্চ, ভক্ত, দীক্ষিত সহ অগণিত সাধারণ মানুষের চোখের জলে চিরবিদায় জানানো হয় স্বামী স্মরণানন্দকে। শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।। রাতে সম্পন্ন হয় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষের শেষকৃত্য।
স্বামী স্মরণানন্দ সম্পর্কে
২৯ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। ১৯২৯ সালে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের মুম্বই শাখাকেন্দ্রে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের কাছ থেকে সন্ন্য়াসধর্মে দীক্ষিত হন। ১৯৫৮-তে ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর কলকাতা শাখায় আসেন। দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ করেছেন ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর বিভিন্ন শাখায়। ইংরেজি পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারত’-এর সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন কয়েক বছর। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নেন স্বামী স্মরণানন্দ।
আরও পড়ুন :