মাঘের শুক্লা পঞ্চমীতে বাগদেবীর আরাধনা ( Saraswati Puja ) । পলাশপ্রিয়ার আরাধনা মানেই হলুদ-সাদা পোশাকে পুষ্পাঞ্জলি। হাতে পলাশফুল নিয়ে মায়ের সামনে হাজির হওয়া। আর প্রাক-বাৎসরিক পরীক্ষাকালে মায়ের কাছে প্রার্থনা, প্রশ্নপত্র যেন সহজ হয় মা। তাই তো আজও সরস্বতী পুজো মানেই সনৎ সিংহর সেই গান। 'সরস্বতী বিদ্যেবতী তোমায় দিলাম খোলা চিঠি, একটু দয়া কর মাগো বুদ্ধি যেন হয়, এসব কথা লিখছি তোমায় নালিশ করে নয় '
বসন্ত পঞ্চমীতে বিদ্যার দেবীর কাছে এটুকুই তো চাওয়া। তারপর ফলপ্রসাদ ভাগ করে খাওয়ার আনন্দে., ভোগ বিতরণে, দিনটা পার করা। তবে সরস্বতী পুজো মানেই খুদেদের হাতেখড়ি৷ বাসন্তী শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে সেজে এক্কেবারে খুদেরাও হাজির হয় শ্বেতপদ্মাসনার সামনে। সেদিনই মায়ের কাছে অফিসিয়ালি পড়া-লেখার জীবনে সূচনাটা হয়ে যায়। আগে হাতে খড়ি হত ৫ বছরে। কিন্তু এখন বদলে গিয়েছে সময়। বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে ২ পার করেই। তাই মা-বাবারা চান হাতে-খড়িটা একটু আগেভাগেই হয়ে যাক !
শ্রীপঞ্চমীর দিন হাতেখড়ি দেওয়ার রীতিটি শুধুমাত্র লেখা-পড়ার সূচনা হিসেবে দেখা হয় না। অনেকেই গান-বাজনা বা কোনও বাদ্যযন্ত্রের তালিম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন এদিনই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এভাবে মায়ের মূর্তির সামনে বসে পড়াশোনা শুরু করলে বাচ্চাদের মনে একটা সুপ্রভাবও পড়ে।
হাতেখড়ি দেওয়াটা বিদ্যালাভের প্রথম সিঁড়ি। অনেক পরিবারই হাতেখড়ি দেওয়ান পারিবারিক পুরোহিতকে দিয়ে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন সন্তানের কাছে তাঁর প্রথম গুরু মা । তাই মায়ের হাতে এই পথ চলা শুরু করা সবসময়ই শুভ। হাতেখড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় দেখে নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই দিনটি ওই শিশুটির গ্রহ-নক্ষত্র অনুসারে কেমন তা দেখে নিলে ভাল। তার কোষ্ঠী অনুসার ওই দিনটা তার জন্য শুভ কি না, দেখে নিতে হবে।
বসন্ত পঞ্চমীর দিনে কোন সময়টা শিশুর হাতেখড়ি দেওয়ানোর জন্য শুভ, তা জেনে নিন। প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে পৌঁছান। আর যার হাতেখড়ি উৎসব, তাকেও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলুন। হাতে খড়ি দিতে যে যে জিনিস লাগবে তা হল, স্লেট, খড়ি, বর্ণমালার বই, খাগের দোয়াত-কলম,ফল-ফুল, আসন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন :
কাটবে বাধা, মুঠোয় সাফল্য, ফেব্রুয়ারিতে মিলছে শুক্র ও বৃহস্পতি, মহা সংযোগে এই রাশিগুলির অঢেল লাভ