কলকাতা : রথযাত্রা মানেই মহা ধূমধাম। সারা বিশ্বের চোখ থাকে পুরীতে। যদিও এই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু  হয়ে যায় বহু আগে থেকেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার চন্দন যাত্রার মাধ্যমেই নীলাচল ও অন্যান্য জগন্নাথ মন্দিরে রথাযাত্রার আগের ধর্মীয় রীতিগুলি শুরু হয়ে যায়। রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল স্নানযাত্রা। আর এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের কাউন্ট ডাউন। ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ - বলরাম - সুভদ্রা। আর তারপরই  প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ। 


স্নান যাত্রায় শুভ সময় 


এ বছর স্নান যাত্রা আগামী শনিবার।  ২২ জুন। এদিন জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা, তিন ভাইবোনেরই সাড়ম্বরে স্নানযাত্রা হবে। সকাল ৭টা ৩২ মিনিট তিথিতে পড়ছে পূর্ণিমা। ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে তিথি। যেহেতু ২২ জুন সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, তাই স্নান যাত্রা পালন হবে শনিবারই। 


 



পুরীতে স্নানযাত্রা ( পিটিআই )


 


জগন্নাথের জ্বর


দীর্ঘগরমে ভক্তকূলের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষাগমনের শুরুতেই স্নানযাত্রা। এদেন মনের সুখে প্রতিবছর স্নান করেন তিন ভাইবোন। আর এত স্নান করলে শরীর খারাপ তো হবেই ! মানুষের বিশ্বাস, ভগবান ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুদ্ধদ্বারে চলে তাঁর চিকিৎসা । এরপর আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলে তাঁর । এ সময় ১৫ দিনের জন্য দোর দেন ভক্তের ভগবান।   


স্নানযাত্রার সঙ্গে কীভাবে জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা? 


 কথিত আছে, শ্রীজগদীশের আজ্ঞানুসারে জ্বরের জন্য ১৫ দিন শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ  থাকে। এই সময়ে তাঁদের রাজবৈদ্য জগন্নাথের সেবা করেন। পুরোটাই চলে গোপনে। ভক্তদের বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথ দেব। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন।  রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে  রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা। স্নানযাত্রায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ কাজ সারেন। 


আরও পড়ুন :                          


কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগ কর্কটের, মকরের বিরাট অর্থযোগ, এই সপ্তাহে সাফল্যে ভরে উঠবে এই ৫ রাশির ঝুলি