কলকাতা: হিন্দুধর্মে (Hindu Religion) বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ম্ভূ এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে মনে করা হয় তাঁকে। বলা হয়, কৃষ্ণের (Shree Krishna) রাজধানী দ্বারকা (Dwaraka) শহরটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা।                                                       

  


এবছর ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পড়েছে। সাধারণত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যেই পড়ে বিশ্বকর্মার পুজোর দিন। বলা হয়েছে, দৃক সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে চারটি শুভ যোগ রয়েছে। এই বিশেষ উপলক্ষ্যে ব্রহ্ম যোগ, দ্বিপুষ্কর যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সবই তৈরি হচ্ছে।                                                 


বিশ্বকর্মা পুজোর শুভ সময় কখন? 


চলতি বছরের পুজোর শুভ সময় সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। আবার দুপুর ১টা বেজে ৫৮ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ সময়।


ভগবান গণেশকে প্রথমে প্রার্থনা করা হয়, তারপরে ভগবান বিশ্বকর্মা। যখনই কোনও হিন্দু দেবতার কাছে প্রার্থনা করা হয়, সর্বদা প্রথমে গণেশের পূজা করা হয়। ভগবান বিশ্বকর্মার কপালে একটি তিলক দেওয়া হয় এবং একটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। তারপর তাকে প্রার্থনা, ফল, মিষ্টি, ফুল ইত্যাদি অর্পণ করুন৷ ভগবান বিশ্বকর্মার কাছে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।


বিশ্বকর্মা দেবতাকে বলা হয় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার কারণ যে কোনো যন্ত্রপাতি নিমেষে সুস্থ করে দিতে পারেন তিনি। পুরাণ মতে, পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তিও তৈরি করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন, কোন কোন কাজ করলে পরমাত্মাকে লাভ করা যায়? গীতায় কী জানিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ?