কলকাতা: এই বছর শুক্রবার ২১ জুন সকাল সাতটা ৩২ মিনিটে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার (Jyeshtha Purnima) তিথি শুরু হচ্ছে আর শেষ হচ্ছে শনিবার অর্থাৎ ২২ জুন সকাল ৬টা ৩৭ মিনিটে। বাংলার আষাঢ় মাসে পড়লেও একে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা হিসেবে মানা হয়। প্রতিটি পূর্ণিমার মতো এই দিনটিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এই পূর্ণিমাকে গায়ত্রী জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়। সেই সঙ্গে এই তিথিতে দেবী সাবিত্রীর পুজো করার পাশাপাশি বট সাবিত্রী ব্রত পালন করা হয়। 


ধর্মীয় বিশ্বাস, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথিতে আবির্ভাব হয়েছিল সমস্ত বেদের জননী গায়ত্রী দেবীর। তাই ভক্তরা অত্যন্ত ভক্তি সহকারে এই তিথিতে মা গায়ত্রীর আরাধনা করেন। মনে করা হয় পবিত্র এই মুহূর্তে গায়ত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) জপ করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই সময়ে যাঁরা তাঁর পুজো করেন মা গায়ত্রীর আশীর্বাদে তাঁদের জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি ধনসম্পদ বৃদ্ধি পায়। আর যাঁরা গায়ত্রী জয়ন্তীর দিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করেন তাঁদের বুদ্ধি ও বক্তব্য রাখার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই অনেকেই এই দিনটিতে মা গায়ত্রীর আরাধনা করার পাশাপাশি শ্রদ্ধা সহকারে তাঁর মন্ত্রও জপ করেন।


গায়ত্রী মন্ত্রে মোট ২৪টি অক্ষর আছে যা ২৪টি শক্তি ও সিদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তাই এই জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার তিথিতে পড়ুয়ারা যদি সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে পূর্ব দিকে মুখ করে বসে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করেন তাহলে প্রচুর উপকার পাবে। পড়ুয়াদের কুশ বা লাল রঙের আসনের উপর বসে প্রথমে সামনে একটি তামার পাত্রে গঙ্গার জল ভর্তি করে তাতে তুলসী পাতা দিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঘিয়ের একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে হাতে তুলসীর মালা নিয়ে ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে হবে। যদি কোনও কারণে মন্ত্র উচ্চারণের সময় থামতে হয় তাহলে পা ও হাত ধুয়ে নিয়ে ফের শুরু করতে হবে মন্ত্র উচ্চারণ। মন ও শরীর দুটোকেই শুদ্ধ করে গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণের কথা বলা হয়েছে।


গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণের ফলে শিশুদের বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি বৃদ্ধি হবে যুক্তি সহকারে সমস্ত কিছু বুঝে নেওয়া ক্ষমতাও। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Jagannath Temple Ratna Bhandar: প্রতীক্ষার অবসান, ৮ জুলাই খোলা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার