কলকাতা: পাখির চোখ 'গগনযান অভিযান'। সেই জন্য, এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে একের পর এক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট তৈরি করে রেখেছে ইসরো, জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। গত কাল, নতুন বছরে প্রথম দিনই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণা নতুন দিশার খোঁজে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তার পরই এই কথা জানান তিনি।


কী বললেন?
২০২৪ সালে ইসরোর কী কী 'টার্গেট' রয়েছে, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের 'ব্রিফিং' করেন চেয়ারম্যান। বলেন, 'এই বছরে অন্তত ১২-১৪টি অভিযানের প্রস্তুতি নেব আমরা। ২০২৫ সালে গগনযান অভিযানের সময় নির্ধারিত থাকলেও এই বছরটা মূলত তার প্রস্তুতির বছর হতে চলেছে।' এই অভিযানের অংশ হিসেবে গত অক্টোবরে, 'abort mission' অংশটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। তাতে সাফল্যও এসেছে। সোমনাথ জানিয়েছেন, এরকম আরও ৪টি পরীক্ষা করতে হবে। তার মধ্যে, ২০২৪ সালে, অন্তত ২টির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চাইছেন তাঁরা।
গগনযান অভিযান নিয়ে ইসরো যে জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে, সেটা অজানা নয়। তবে নভোচরদের মহাকাশে পাঠানোর আগে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি। তাতে হার্ডওয়ারের নানা দিক বোঝা সম্ভব হবে, মনে করেন ইসরো চেয়ারম্যান। তবে শুধু গগনযান নয়, NISAR-র জন্য জিএসএলভি উৎক্ষেপণও হতে চলেছে এই বছর। 


গগনযান নিয়ে...
গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর চেষ্টা করবে ভারত। সঙ্গে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরির নকশা বানাতেও নির্দেশ দিয়েছেন স্পেস ডিপার্টমেন্টকে। বস্তুত, চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় যে সরকার জোরালো উদ্যোগ নিতে চাইছে, সেটা এই ঘোষণার পর স্পষ্ট হয়ে যায়। পরে ইসরোর তরফেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছিল বিষয়টি। গত অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের পর গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিল ইসরো। দুরন্ত ওই অভিযানের ঠিক আগেই রাশিয়ার একটি অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। একসময়ে মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ রাশিয়ার এই ব্যর্থতার পাশে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই সাফল্য গোটা দুনিয়ার নজর কাড়ে। এতেই শেষ নয়। এর পর সূর্যের উদ্দেশে অভিযান শুরু করে ইসরো।


আরও পড়ুন:দিনের বেলাতেই নেমে আসবে অন্ধকার, এবছর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানুন