নয়াদিল্লি: ধূমকেতু না ভিন্গ্রহী যান, সেই নিয়ে বিতর্ক গোড়া থেকেই। এবার পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসছে 3I/ATLAS. এতটাই কাছাকাছি চলে আসছে যে পৃথিবীবাসী সেটিকে চাক্ষুষ করতে পারবেন। ১৯ ডিসেম্বর পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে 3I/ATLAS. (3I/ATLAS News)
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র কাজকর্ম বন্ধ থাকাকালীন, ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থা 3I/ATLAS-কে ক্যামেরাবন্দি করেছে। ৩০ নভেম্বর শেষ পর্যন্ত 3I/ATLAS-কে ক্যামেরাবন্দি করে NASA-র Hubble Space Telescope. সেই ছবি গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তবে এবার আরও ভাল ভাবে 3I/ATLAS-কে দেখার সুযোগ মিলতে চলেছে। (Science News)
NASA জানিয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর ভোর হওয়ার ঠিক আগে আকাশে 3I/ATLAS-এর দেখা মিলবে। তবে ওই একদিনই নয়, ২০২৬ সালের সূচনা হওয়ার আগে, আগামী কয়েক দিনই সেটিকে দেখা সম্ভব। টেলিস্কোপের অ্যাপারেচার যদি ৩০ সেন্টিমিটার হয়, তাহলে স্পষ্ট দেখা যাবে। ছোট আকারের টেলিস্কোপ থাকলেও চলবে, তবে তাতে অস্পষ্ট, ধোঁয়াটে আকারেই ধরা দেবে 3I/ATLAS.
তবে বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের চোখের চেয়ে ক্যামেরার দৃষ্টি অনেক বেশি তীক্ষ্ণ। ফলে ক্যামেরায় আরও ভাল ভাবে ধরা দেবে 3I/ATLAS. চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে যে দূরত্ব, ১৯ ডিসেম্বর তার চেয়ে ৭০০ গুণেরও বেশি দূরত্ব থাকবে পৃথিবী ও 3I/ATLAS-এর মধ্যে। তার পরও যে সেটিকে দেখা যাবে, তা-ই অনেক বলে মনে করছেন মহাকাশপ্রেমীরা। ভোর হওয়ার ঠিক আগে, পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব দিগন্তে 3I/ATLAS আবির্ভূত হবে। তারামণ্ডল Leo-র অন্তর্গত Regulus-এর ঠিক নীচে অবস্থান করবে 3I/ATLAS. আলোদূষণের জন্য 3I/ATLAS-কে দেখতে সমস্যাও হতে পারে। তাই আলো থেকে দূরের কোনও জায়গা বেছে নিতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সরাসরি সম্প্রচারও করবে ওই মুহূর্ত। ফলে ইন্টারনেট ভিডিও-তেও 3I/ATLAS-কে দেখা যাবে।
3I/ATLAS আদৌ ধূমকেতু, না কি ভিন্গ্রহী যান, সেই নিয়ে বিতর্ক যদিও রয়েই গিয়েছে। 3I/ATLAS-কে ভিন্গ্রহী যান বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী Avi Loeb. 3I/ATLAS ভিন্গ্রহ থেকে আসা অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির নিদর্শন বলে দাবি তাঁর।