নয়াদিল্লি: বৃষ্টি ধরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতির রাতে পূর্ণরূপে চাঁদ দেখতে মুখিয়ে সকলে। তবে আরও একটি কারণে আজ চাঁদ ওঠার অপেক্ষায় সকলে। কারণ আজ দক্ষিণ দিগন্তের একেবারে নিম্নভাগে অবস্থান করবে চাঁদ। তবে আকারে বেশ বড় দেখাবে, সোনালী আভা চোখে পড়বে। তবে আরও একটি কারণে আজ আকাশে চাঁদের অপেক্ষায় মহাকাশপ্রেমীরা। (July Full Moon)
এই মুহূর্তে উত্তরায়ন চলছে, অর্থাৎ গ্রীষ্মণ্ডলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয় চাঁদ। আকাশে একেবারে উপরের দিকে অবস্থান করে। এই সময় চাঁদ একেবারে দক্ষিণ দিগন্তের নিম্নভাগে নেমে আসে, একেবারে ছোট দেখায় বলে, এই জুলাই মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘মাইক্রোমুন’ও বলা হয়। এই সময় অপসূর অবস্থানে বিরাজ করে চাঁদ, অর্থাৎ সূর্যের থেকে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয়। (Buck Moon)
জুলাই মাসের এই পূর্ণিমার চাঁদকে ‘Buck Moon’-ও বলা হয়। বছরের এই সময় পুরুষ হরিণের মাথায় শিং গজাতে শুরুকরে। পুরুষ হরিণকে ইংরেজিতে Buck বলা হয়, তাই জুলাই মাসের পূর্ণিমার চাঁদকেও বলা হয় ‘Buck Moon’. কিছু জায়গায় ‘Thunder Moon’ বলার চলও রয়েছে, এই সময়ে হওয়া ঝড়-ঝঞ্ঝার কথা মাথায় রেখেই। ইউরোপে আবার ‘Hay Moon’ বলা হয়, কারণ এই সময় গৃহপালিত পশুর খাওয়ার ফসল কেটে জড়ো করে।
আজ উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে সবচেয়ে ভাল ভাবে দেখা সম্ভব ‘Buck Moon’. সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, বাহরাইন, কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত একেবারে আদর্শ। সূর্যাস্তের ঠিক পর পর, দক্ষিণ-পূর্ব দিগন্তে চোখ রাখতে হবে। পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল ৪টে বেজে ৩৬ মিনিট থেকেই দক্ষিণ দিগন্তে ‘Buck Moon’ দেখা যাবে। রাত ৮টা বেজে ৫৩ মিনিটে আমেরিকার নিউ ইয়র্কের আকাশেও স্বরূপে ধরা দেবে। খোলামেলা সমুদ্রসৈকত বা উঁচু ছাদ দেখে ভাল ভাবে দেখা যাবে।
এই সময় একেবারে সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে অবস্থান করে পৃথিবী। ফলে আমরা যখন দেখব, তাঁদকে সম্পূর্ণ আলোকিত রূপেই দেখব। কোনও ছায়া থাকবে না, চাঁদের কোনও অংশ ঢাকা থাকবে না। পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের এই সমীকরণের নেপথ্যকারম একেবারে বৈজ্ঞানিক হলে, এর সঙ্গে জড়িয়ে নানা সংস্কৃতি। জুলাই মাসে এই সময় চাঁদকে সাক্ষী রেখে কবিতাপাঠ, গল্পের আসর বসানো, পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন দেশে।