বেঙ্গালুরু: চাঁদের পরে মিশন সূর্য। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হাঁটাহাঁটি শুরু করেছে প্রজ্ঞান। রোজই কোনও না কোনও ছবি আসছে চাঁদের বাড়ি থেকে। সেখানে মিলেছে সালফার ও অক্সিজেনের খোঁজ। এবার ইসরোর লক্ষ সৌরপরিবারের কর্তার দোরে কড়া নাড়া। তাই তার আগে সূর্যের ঘরে সদা সর্বদা নজরদারিরও দরকার। সেই কাজটা করতেই তৈরি সৌরযান Aditya-L1।
কাউন্ট ডাউন শুরু
আর দেরি নেই কাউন্ট ডাউন শুরু, জানিয়ে দিল ইসরো। শনিবার সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রওনা দেবে ভারতের সৌরযান Aditya-L1। ইসরো জানিয়েছে, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1-এ (Lagrange point 1 ) অবস্থান করবে ভারতের সৌরযান। পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই যান। আগেই ISROর চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানান, মিশনটি সঠিক ব্যাসার্ধে পৌঁছতে ১২৫ দিন সময় নেবে। এই অভিযান সফল হলে সৌরমণ্ডলের মধ্যমণি সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে। সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের যে আবরণ, আপাতত সেটির উপরই নজরদারি চালবে।
কী এই Lagrange point 1?
এই অবস্থান থেকে কোনওরকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখা যাবে। এমনকী গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যের ঘরে অবিরাম নজরদারি চালাতে তৈরি এই যান। সূর্যে কখন কী ঘটছে , আর পৃথিবাতে তার প্রভাব কী পড়ছে তা জানাবে Aditya-L1। এর মাধ্য়মে পরিষ্কার হয়ে যাবে, পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর ঠিক কী প্রভাব পড়ে সূর্যের।
এই প্রথমবার সোলার রিসার্চ অর্থাৎ সূর্যের পর্যবেক্ষণের জন্য স্পেস অবজারেভেটরি পাঠাচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, ইসরো এই মহাকাশযান তৈরি করেছে এমন ডিজাইনে যা সোলার করোনার প্রত্যন্ত অংশও নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এর পাশাপাশি সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার অর্থাৎ সূর্যের আবহাওয়া-পরিবেশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল-১ মহাকাশযান। এছাড়াও সোলার উইন্ড বা সৌর বায়ু বিশ্লেষণ করাও ইসরোর সোলার মিশনের অন্যতম লক্ষ্য। এই সোলার উইন্ড মাঝে মাঝেই সমস্যা তৈরি করে পৃথিবীতে। সাধারণ মানুষের কাছে এই সোলার উইন্ড আসলে অরোরা নামে পরিচিত। মোট সাতটি পে-লোড থাকবে Aditya L-1-এ। এর মধ্যে চারটি সূর্যের থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। মূলত ক্রোমোস্ফিয়ার ও কোরোনা নিয়ে গবেষণা করবে। বাকি তিনটি আরও অন্যান্য কাজে লাগানো হবে।