চেন্নাই: শুধুমাত্র পশ্চিমের দেশগুলিতেই নয়, ভারতেও বেসরকারি সংস্থাগুলি মহাকাশ গবেষণার জগতে পদার্পণ করছে একে একে। শুক্রবারই বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা স্টার্টআপ সংস্থা ‘Agnikul Cosmos’-এর ‘অগ্নিবাণ’ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগে পিছিয়ে এল তারা। অনিবার্য কারণে আগামী কাল রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে না বলে জানাল তারা। (Agnibaan Launch Postponed)


২২ মার্চ, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণের কথা ছিল ‘AGnibaan SOrTeD’ (Sub-Orbital Technology Demonstrator) রকেটের। অনিবার্য কারণে কাল উৎক্ষেপণ করা যাচ্ছে না বলে জানানো হলেও, তার পরিবর্তে কবে উৎক্ষেপণ হবে, তা এখনও খোলসা করেনি Agnikul Cosmos. (Science News)


চেন্নাইয়ের মহাকাশ প্রযুক্তি স্টার্টআপ সংস্থা Agnikul Cosmos. সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, গতকাল রাত থেকে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছিল। উৎক্ষেপণ ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছিল তারা। অনিবার্য কারণে আপাতত উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরবর্তী তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদও জানায় তারা।




আরও পড়ুন: Total Solar Eclipse: ধাপে ধাপে সূর্যকে ঢাকবে চাঁদ, ৫৪ বছর আগেই ২০২৪-এর পূর্ণগ্রাস গ্রহণের ভবিষ্যদ্বাণী


শুক্রবার উৎক্ষেপণ হলে, Agnikul Cosmos ভারতের দ্বিতীয় বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে পরিগণিত হত, যারা মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছে। এর আগে, ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে রকেট উৎক্ষেপণ করে Skyroot সংস্থা। যে কারণে 'অগ্নিবাণে'র উৎক্ষেপণ ঘিরে বাড়তি উৎসাহ ছিল, তা হল, ওই রকেটে 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO এখনও ওই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছে। তার আগেই Agnikul Cosmos তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে যাচ্ছিল। 


3D প্রিন্টেড রকেট ইঞ্জিন একটি আধুনিক প্রযুক্তি। এর আওতায়, হালকা ওজনের বিভিন্ন ধাতব খাদকে একত্রিত করে ইঞ্জিনের কাঠামোর নির্মাণ হয়। এক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম, নিকেল, তামা, ক্রোমিয়ামের মতো ধাতুর খাদ ব্যবহার করা হয়। টুকরো টুকরো যন্ত্রাংশ জুড়তে হয় না এর সঙ্গে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ছাঁচে ফেলে তার উপর চাপসৃষ্টি করলেই তৈরি ইঞ্জিনের কাঠামো বেরিয়ে আসে।  নকশা ফুটিয়ে তুলতে ব্যাবহার করা হয় লেজার। 3D রকেট ইঞ্জিনে বেশি জ্বালানিও খরচ হয় না। উৎক্ষেপণ সফল হলে এই প্রথন ভারত থেকে 3D ইঞ্জিন নির্ভর রকেটের উৎক্ষেপণ হবে, যা সাশ্রয়ীও।


২০১৭ সালে Agnikul Cosmos সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীনাথ রবিচন্দ্রণ এবং এসপিএম মইন। তাঁরা দু'জনই এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। সত্য চক্রবর্তী শ্রীনাথ এবং মইনের উপদেষ্টা। মহাকাশ অভিযানের জন্য বাজার থেকে ৪ কোটি ডলার তুলেছে তারা। শ্রীহরিকোটায় নিজেদের লঞ্চপ্যাড তৈরিরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের। কোথাও কিছু বিঘ্ন ঘটলে ISRO-র তরফেও সহযোগিতা করার কথা ছিল।