নয়াদিল্লি: আপাতত 'Asteroid 2007 FT3'-কে নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, পৃথিবীবাসীকে আশ্বস্ত করে বার্তা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'-র (NASA Assures On'Asteroid 2007 FT3) । বিজ্ঞানীদের ব্য়াখ্যা, এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে ৩০০ মিটারের গ্রহাণুটির সঙ্গে আমাদের গ্রহের সংঘর্ষের আশঙ্কা খুব কম। অঙ্কের ভাষায় বললে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভাগের ১ ভাগ। সুতরাং এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু হঠাৎ এই গ্রহাণু নিয়ে আলোড়ন কেন? এর জন্য ১৬ বছরেরও বেশি সময় পিছিয়ে যেতে হবে।


২০০৭ ও গ্রহাণুর দেখা...
খুব অল্প সময়ের জন্য, ২০০৭ সালে, এই গ্রহাণুর দেখা পাওয়া গিয়েছিল। তার পর যেন মানুষের নজরদারির আওতা থেকে কোথায় হারিয়ে যায়  'Asteroid 2007 FT3'। কিন্তু তাকে নিয়ে আলোচনা কমেনি। পৃথিবীর মাটিতে যে কোনও সময়ে সে আছড়ে পড়়তে পারে, এমন আশঙ্কাবার্তা আগেও ছড়িয়েছিল। নয় নয় করে এরকম ৮৯টি তারিখের কথা জানা যায়, যার একটি ছিল 'হ্যালোউইন দিবস'। তবে কোনও দিনই কোনও আশঙ্কা মেলেনি। সেই সম্ভাব্য তালিকায় নতুন সংযোজন হয়েছে ৫ অক্টোবর। খবর ছড়াতেই ফের আলোড়ন শুরু হয়। যদিও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দিলেন, এমন কোনও আশঙ্কা কার্যত নেই বললেই চলে।
তবে একই সঙ্গে একটি তথ্য শেয়ার করেছেন তাঁরা। ৩০০ মিটারের 'Asteroid 2007 FT3'-র ভর ২৬০ কোটি টন। এই বিশাল ভর নিয়ে যদি সত্যিই সে আছড়ে পড়ত, তা হলে একটা বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতে পারত। সে দিক থেকে এখনও পর্যন্ত চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ 'Asteroid 2007 FT3'-র সঙ্গে পৃথিবীর কোনও ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। নাসার মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'পরবর্তী শতকজুড়েই কোনও গ্রহাণুর সঙ্গে এমন সংঘর্ষের আশঙ্কার কথা এখনও জানা নেই।'


নজরদারি...
নাসা তো বটেই. তার সতীর্থ সংগঠনগুলিও এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আগাম আঁচ পেতে মহাকাশের দিকে নিয়ত কড়া নজর রাখে। গ্রহাণু ও 'নিয়ার আর্থ অবজেক্ট'-গুলি খোঁজা, তার গতিপথ সন্ধান এবং সেগুলির শ্রেণিবিভাজন--এই নিরন্তর প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশ। এর মধ্যে কোনও বস্তু পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসতে পারে কিনা, সেটা খেয়াল রাখা অন্যতম বড় কাজ। এক্ষেত্রে কোনগুলিকে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এসেছে বলে নির্ধারণ করা হবে, তার নির্দিষ্ট গাণিতিক পরিমাপ রয়েছে। তবে সাধারণ ভাবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথের ৩ কোটি মাইলের মধ্যে চলে এলে তাকে 'কাছে' চলে আসা বলে গণ্য করা হয়। 


আরও পড়ুন:পর পর ১৫০ ভূমিকম্প, আফটারশক ৬০০, কেন জাপানই বার বার ক্ষতবিক্ষত