কলকাতা: মাঝে আর মাত্র একদিন। তারপরেই চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। ১৪ জুলাই লঞ্চ করা হবে চন্দ্রযান ৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-এর তত্ত্বাবধানেই এই চন্দ্রাভিযান হচ্ছে। শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান ৩-এর। এর আগে চন্দ্রযান ২ পাঠিয়েছিল ISRO. শ্রীহরিকোটায় থেকে LVM3- রকেটের মাধ্য়মে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এর মাধ্যমে ল্যান্ডার এবং রোভার পাঠানো হচ্ছে।
এটি ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান ৩ লঞ্চ হবে। এতে যে ল্যান্ডার রয়েছে সেটি চাঁদের মাটিতে মাসখানেকের একটু বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। চাঁদের মাটিতে Soft Land-করার কথা এই ল্যান্ডারের। ISRO-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৩ বা ২৪ আগস্ট চাঁদের মাটিতে নামবে ল্যান্ডার।
কত খরচ:
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ISRO-এর এই অভিযানে ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। চন্দ্রযান ২ এর তুলনায় অনেকটাই কম খরচ হয়েছে। আগের অভিযানে খরচ হয়েছিল ৯৬০ কোটি টাকা। যদিও সেই অভিযানে একটি বড় অংশ ব্যর্থ হয়েছিল কারণ, চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার অসফল হয়েছিল।
এই অভিযান শুরু থেকে শেষ করতে সময় লাগবে মোট এক চন্দ্র দিন অর্থাৎ প্রায় পৃথিবীর প্রায় ১৪ দিনের সমান। এতে যে প্রপালশান মডিউল রয়েছে তার ওজন ২১৪৮ কেজি। ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভার নিয়ে মোট ওজন ১৭৫২ কেটি
অনলাইনে সাক্ষী:
ISRO-এর এই প্রকল্পের লঞ্চ অনলাইনে দেখার ব্য়বস্থা রয়েছে। https://lvg.shar.gov.in/VSCREGISTRATIO এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চ দেখা যাবে।
চন্দ্রায়ন-৩ (Chandrayaan 3 ) ল্যান্ডারটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি চাঁদে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করে রোভার স্থাপন করতে পারে, যার লক্ষ্য চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করা। প্রপালশন মডিউল ল্যান্ডার মডিউলটিকে ১০০ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথে নিয়ে যাবে। এই কক্ষপথে পৌঁছানোর পর, ল্যান্ডার মডিউল এবং প্রপালশন মডিউল আলাদা হয়ে যাবে। প্রপালশন মডিউল আ লাদা হওয়ার পরে চাঁদের কক্ষপথে থাকবে এবং একটি রিলে স্যাটেলাইট হিসাবে কাজ করবে। ল্যান্ডার, রোভার এবং প্রপালশন মডিউলগুলি তাদের নিজস্ব পেলোড বহন করবে।