নয়া দিল্লি: ঝক্কি কম হয়নি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছেড়ে প্রথমে কক্ষপথে ঘূর্ণন, তারপর চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি। সেখানেই শেষ নয়, ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ করে চাঁদের মাটিতে 'পা'। এরপর ইসরোর নির্দেশ মেনে একের পর এক কাজ করে চলা। এবার একটু বিশ্রামের পালা।
গত ২৩ অগাস্ট সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩। ইসরো জানিয়েছিল এক চন্দ্রদিনের আয়ু নিয়ে চাঁদে গিয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ফলে নিয়ম মেনেই 'দিন ফুরিয়ে' আসছে তাদের। প্রথমে ইসরোর তরফে জানান হয়েছিল, ল্যান্ডার ও রোভারকে ঘুম পাড়ানোর প্রক্রিয়া দু'এক দিনের মধ্যেই শুরু করা হবে। তবে শনিবার রাতেই তাঁদের এক্স-হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ার সেই পোস্টে বলা হয়েছে, 'রোভারের অ্যাসাইনমেন্ট সমাপ্ত হয়েছে। এবার সেটিকে যথাযথভাবে পার্ক করা হয়েছে। এবার সেটি স্লিপ মোডে চলে যাবে। APXS এবং LIBS পে-লোডগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। এই পে-লোডগুলি থেকে ডেটা ল্যান্ডারের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসবে। যদিও ব্যাটারি ফুল চার্জ রয়েছে। আগামী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সোলার প্যানেলগুলিও তাঁদের কাজ শুরু করে দেবে। ২২ সেপ্টেম্বর ফের জেগে উঠবে রোভার। সকলেই আশা করছি সে দিন ঘুম ভেঙে ফের নিজের মেজাজেই ফিরবে রোভার। তা যদি না হয় তবে চিরকালের জন্য হয়তো ভারতের লুনার অ্যাম্বাসেডার হয়ে চাঁদের বুকেই থেকে যাবে সে'।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১৪ দিন মানে চাঁদের একদিন। এবার শেষ হচ্ছে সেই চন্দ্রদিন। এরপরই ঘুমিয়ে পড়ল প্রজ্ঞান।
আরও পড়ুন, সূর্য-সফরে একের পর এক সাফল্য, শক্তি উৎপাদনের প্রথম ধাপ পার
চাঁদের বায়ুমণ্ডলের মৌলিক গঠনের উপর তথ্য সংগ্রহ করে রোভাবের ২টি পেলোড। তার মধ্যে আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার বা APXS চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী রাসায়নিক ও খনিজ উপাদান রয়েছে সেসব বিষয়ে তথ্য অন্বেষণ করে। পাওয়া যায় সালফারের উপস্থিতিও। অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, টাইটানিয়াম, আয়রন রয়েছে কি না থাকলেও কতটা পরিমাণে রয়েছে ও কী ভাবে রয়েছে, তা খতিয়েও দেখে সে।