নয়াদিল্লি : এখনও পর্যন্ত যাত্রাপথ মসৃণই থেকেছে। কিন্তু, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের বাইরে কখন বেরোবে চন্দ্রযান-৩ ? এনিয়ে জল্পনা চলছিলই। এবার অবশ্য তার অবসান ঘটতে চলেছে। আজ, ২৫ জুলাই নতুন ধাপে পৌঁছতে চলেছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। গত ২০ জুলাই সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ হয় চতুর্থ ধাপ। চন্দ্রযান-৩ এর গতি বৃদ্ধির জন্য ইসরোর তরফে যে পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার শেষ অর্থাৎ পঞ্চম ধাপ আজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে। 


চন্দ্রযান-৩-তে নতুনত্ব কী ?


পৃথিবী থেকে আরও দূরে যেতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের আরও একধাপ কাছে। 


একবার এই পঞ্চম তথা শেষ কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে, পৃথিবী থেকে চাঁদের-কক্ষপথে প্রবেশ করতে ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। ইসরোর তথ্য অনুযায়ী, ১২৭৬০৯x২৩৬ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। পর্যবেক্ষণের পর বিষয়টি নিশ্চিত করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।


 






আশা করা হচ্ছে, ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট চাঁদে পৌঁছাবে চন্দ্রযান-৩। তবে, কোথায় অবতরণ করবে চন্দ্রযান, তা নির্ধারণ করতে মহাকাশযানের সময় লাগবে ১০ দিন। তার পর ধীরে ধীরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করবে ল্যান্ডার।


গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় ইসরোর মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩-র।চন্দ্রযান-২ এর অসমাপ্ত মিশন সফল করার লক্ষ্যেই চন্দ্রযান-৩-র উৎক্ষেপণ। মূলত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারতের তৈরি মহাকাশযান।


সেগুলি হল- 



  • চন্দ্রপৃষ্ঠে যাতে নিরাপদে অবতরণ করানো যায় এই মহাকাশযানকে।

  • চাঁদে রোভার অপারেশন প্রদর্শন করা

  • চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা চালানো।


তবে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যখন এই মহাকাশযান অবতরণ করবে, তখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে- নিম্নমাত্রার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, বায়ুমণ্ডলের এবং মহাকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব। যদি এই অভিযানে চন্দ্রযান-৩ সফল হয়, তাহলে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা ও চিনের সঙ্গে সাফল্যের নিরিখে এক আসনে বসবে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে স্থিতিশীলভাবে মহাকাশযানের অবতরণের ক্ষেত্রে। এর আগে চন্দ্রযান-২ অভিযানে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার। ২০১৯ সালে ইসরোর সেই অধরা স্বপ্ন কি এবার সফল করতে পারবে চন্দ্রযান-৩ ? সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।