নয়াদিল্লি: প্রত্যাশিত সাফল্য মিলেছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে। এর পর পরই শুরু হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি। এবার চন্দ্রযান-৪ অভিযান নিয়ে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. তারা জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ যেখানে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়, সেই শিবশক্তি পয়েন্টেই অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৪। (Chandrayaan 4 Mission)


রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করেছে ISRO. তারা জানিয়েছে, চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ যেখানে অবতরণ করে, সেই শিবশক্তি পয়েন্টে নামবে চন্দ্রযান-৪। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের মতো, এবারও একচন্দ্রদিবস চাঁদের বুকে অনুসন্ধান চালাবে চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযান, পৃথিবীর হিসেবে যা ১৪ দিন। ISRO-র এই অভিযান ঘিরেও প্রত্যাশা বাড়তে শুরু করেছে। (ISRO News)


চন্দ্রযান-৩ চাঁদের বুকে যে কাজ শুরু করেছিল, সেই কাজ সম্পূর্ণ করবে চন্দ্রযান-৪। পাশাপাশি, আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে তার উপর। চাঁদের বুক থেকে মাটি থেকে পাথর এবং নমুনা সংগ্রহ করে আনবে চন্দ্রযান-৪। সেই কাজে সফল হলে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে আবারও ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের।



আরও পড়ুন: Ladakh Aurora Spectacle: রঙিন হল রাতের আকাশ, লাদাখের মাথার উপর রক্তিম আলোর নাচ, মেরুজ্যোতি দেখল ভারতও


এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৪ অভিযানে মোট চারটি মডিউল থাকবে, ল্যান্ডার মডিউল (LM), অ্যাসেন্ডার মডিউল (AM)এবং দু’টি উৎক্ষেপণযান, PSLV (RM+TM) ও LVM-3 (AM+DM). এর মধ্যে RM+TM চাঁদের কক্ষপথে মোতায়েন থাকবে। AM+DM চাঁদের বুকে নামবে।


নমুনা সংগ্রহ করতেই মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই অবতরণ করানো হবে চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানকে। সেখান থেকে পাথর, মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে ভারতীয় মহাকাশযান। সেগুলি আবার পৃথিবীতে ফেরতও আনবে, যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের মাটিতে জলের অণু রয়েছে কি না, আর কী কী খনিজ রয়েছে, তা আদৌ ভবিষ্যতে উপনিবেশ গড়ে তোলার উপযুক্ত কি না, পরীক্ষা করে দেখা হবে।


এর পাশাপাশি, এই অভিযানের হাত ধরেই চাঁদের মাটিতে ৩৫০ কেজি ওজনের একটি রোভার নামাতে চলেছে ISRO,  যা অল্প সময়ের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এখনও পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর বৃহদাকার গহ্বরগুলিতে নামতে পারেনি কোনও দেশ। ওই রোভারকে দিয়ে গহ্বরের উপরিভাগে অনুসন্ধান চালানো হবে।