নয়াদিল্লি: যত দিন যাচ্ছে, মহাকাশ অভিযানে নাম লেখাচ্ছে একের পর এক দেশ। আগামী দু'বছরে বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে চিনেরও। চাঁদে মানুষ পাঠাতে চলেছে তারা। পাশাপাশি মহাকাশ অভিযানে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার পথেও চিন। চাঁদের বুকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট ব্যবহার করতে চলেছে তারা। ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে ওই পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। (China Reusable Rockets)
চিনা সরকারের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা China Aerospace Science and Technology Corp. (CASC) এই অভিযানের মূল দায়িত্বে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। তার আগে পর পর দু'টি পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণ করবে তারা। তাদের এই পরিকল্পনা সফল হলে কার্যতই বিপ্লব ঘটকে মহাকাশ গবেষণার জগতে। এক রকেট বার বার ব্যবহার করা গেলে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। (China Crewed Moon Mission)
চিন জানিয়েছে, এর আগে যত রকেট ব্যবহার করেছে তারা, আগামী দিনের রকেটগুলি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে চলেছে। ওই রকেট পুনরায় ব্যবহার করতে গেলে কিছু বদলাতে হবে না, গোটাটাই পরের অভিযানে ব্যবহার করা যাবে। চিন জানিয়েছে, মহাকাশ অভিযানে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাশ্রয়ী হতে চলেছে তাদের এই প্রকল্প। মহাকাশ অভিযানের জন্য বার বার গোড়া থেকে কাজ শুরু করতে হবে না আর।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-4 Mission: একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, ঠিক যে কারণে চন্দ্রযান-৪ অভিযান জটিল
রকেট দু'টির নাম এখনও খোলসা করেনি চিন। তবে চিন জানিয়েছে, দু'টি রকেটের মধ্যে একটির ব্যাস ১৩ ফুট, অন্যটির ১৬ ফুট। ৩০০ ফুট দীর্ঘ Long March 10 নামের একটি রকেটও মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনের, যা ২৭ টন ওজন বইতে সক্ষম। তার আগে পুনর্ব্যবহারযোগ্য় দু'টি রকেট পরীক্ষা করে দেখতে চায় চিন। তার পর ২০৩০ সালের মধ্যে Mengzhou মহাকাশযানে নভোশ্চরদের চাপিয়ে চাঁদে পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
চাঁদে মানুষ পাঠানোর আগে, ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথেও মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। তবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেটের উৎক্ষেপণ সফল হলে চিন মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। চিনের বেশ কিছু সংস্থা ওই ধরনের রকেট তৈরির কাজ করছে এই মুহূর্তে। সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা CASC-র উৎক্ষেপণযন্ত্রের সাহায্য পেলে দুনিয়ার অন্য সংস্থাগুলিকে ছাপিয়ে যাবে চিনা সংস্থাগুলি।