কলকাতা: গরমের দিনে রাতে মশার আতঙ্কে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। রাতে ঘুমানোর সময় যে শুধু কানের কাছে গুঞ্জন করেই বিরক্ত করে তা নয়, যেখানে মশা কামড়ায়, সেই জায়গায় চুলকানিও হয়, যা আরও বিরক্তের। মশার কামড়ের জায়গায় চুলকালে সেখানে লাল দাগ তৈরি হয়। চলুন আজ জেনে নিই মশার কামড়ের পর কেন চুলকানি হয়? কেনই বা স্ত্রী মশারাই মানুষকে কামড়ায়?                                                   


শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষকে কামড়ায়। পুরুষ মশা কামড়ায় না এবং রোগ ছড়ায় না। জীববিজ্ঞান জানায়, রক্ত না খেয়ে এরা ডিম পাড়তে পারে না। সেজন্য স্ত্রী মশা শুধুমাত্র প্রজনন প্রক্রিয়ার জন্যই মানুষ ও প্রাণীকে কামড়ায়। এর পাশাপাশি নানা রোগও ছড়ায়। স্ত্রী মশাদের বিশেষ ঘ্রাণেন্দ্রিয় থাকে। এটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং গায়ের গন্ধ টের পায়। তার অর্থ যাঁরা বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ করেন, তাঁদের গায়ের গন্ধ টের পেলে মশা সেদিকে ছুটে যায়।                                           


কাদের মশা বেশি কামড়ায়? 


যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেশি নির্গত হয়। ফলে তাঁদের মশা বেশি কামড়ায়। 


এক্সারসাইজ বা প্রচণ্ড পরিশ্রমের পরেও মশার কামড় বেশি খেতে হয়। তার কারণ কায়িক পরিশ্রম বেশি হলে ঘামের সঙ্গে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরোতে থাকে। তার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। ফলে মশা সহজে তাঁদের উপস্থিতি টের পায় এবং ছুটে আসে।


ও গ্রুপের রক্তের মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। এ গ্রুপের রক্তের মানুষকে সবচেয়ে কম। এমনই বলছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান।


জিনগত কারণও রয়েছে মশার কামড় খাওয়ার পিছনে। জিনগত কারণে কারও কারও ত্বকে এমন কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণ হয়, যাতে মশা তাঁদের অস্তিত্ব সহজে বুঝতে পারে।                                                                      


 


আরও পড়ুন, পৃথিবীর দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু-হোলের খোঁজ মিলল মেক্সিকোয়, অজানা রহস্যের সন্ধান