নয়াদিল্লি: রকেট ছোড়ার আগে উৎক্ষেপণকেন্দ্রেই তীব্র বিস্ফোরণ। এর ফলে পিছিয়ে গেল ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX-এর পরবর্তী অভিযান। পরীক্ষা চলার সময় তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এই নিয়ে পর পর দুর্ঘটনার সাক্ষী হল SpaceX. বিস্ফোরণে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত। (Starship Explosion)
মঙ্গলগ্রহ অভিযানকে পাখির চোখ করে Starship রকেটের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মাস্ক। Starship রকেট অন্যগুলির তুলায় বেশ আলাদা। আয়তনে যেমন বড়, তেমনই ওজনে ভারী। শক্তিতেও বাকি রকেটের চেয়ে এগিয়ে। Starship রকেট পুনর্ব্যবহারযোগ্যও। ফলে মহাকাশ অভিযানের খরচ সাধ্যের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। (Science News)
এর আগে আটটি Starship রকেট পরীক্ষা করেছে SpaceX. শনিবার নবম রকেটটি নিয়ে পরীক্ষা চলছিল আমেরিকার টেক্সাসের উৎক্ষেপণকেন্দ্রে। কিন্তু সেই পরীক্ষা চালাতে গিয়ে গোড়াতেই বিপত্তি দেখা দেয়। রকেটটি তখনও মাটিতেই অবস্থান করছিল। কিন্তু ইঞ্জিন চালু করতেই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে রকেটের ইঞ্জিন চালু করতেই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় সবকিছু। এর ফলে Starship প্রোটোটাইপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে যে অভিযানের কথা ছিল, তা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে SpaceX. অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযান।
এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হল SpaceX. এর আগে মাটি ছাড়ার পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি রকেট। আকাশে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। পরে ক্যারিবিয়ানের ইতিউতি থেকে সেটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। ওই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয় আকাশসীমাও। বার বার এমন ব্যর্থতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই নিরাপত্তার প্রসঙ্গও উঠে আসছে আলোচনায়।
যদিওো নিজের লক্ষ্যে অবিচল মাস্ক। মঙ্গলে উপনিবেশ গড়ার আগে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট নির্মাণে বদ্ধপরিকর তিনি। সেই রকেটে চাপিয়েই মানুষকে চাঁদ এবং মঙ্গলে পাঠাতে চান মাস্ক। কিন্তু যেভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে, তাতে তাঁর সংস্থার কাজের পদ্ধতি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। বড় বিপদের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।