নয়াদিল্লি: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। তার পর সৌরযানেরও সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। কিন্তু সংস্থার জন্য লোক নিয়োগ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ISRO-কে (ISRO Salary Structure)। দেশের তাবড় IIT থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করতে গেলেও, বেতনের কাঠামো দেখে ইঞ্জিনিয়াররা পিছিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ বা অনুযোগ নয়, ISRO প্রধান এস সোমনাথ খোদ একথা জানালেন। (S Somanath)
সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এনেছেন ISRO প্রধান সোমনাথ। তিনি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে দক্ষ কর্মীরা মূলত ইঞ্জিনিয়ার। সাধারণ IIT থেকেই নিয়োগ করা হয় তাঁদের। কিন্তু আজকাল IIT থেকে কেউ ISRO-য় যোগ দিচ্ছেন না। আমরা গিয়ে চেষ্টা চালাই, কিন্তু কেউ যোগ দেন না।” মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ থাকলেও, বেতন দেখেই বহু ছেলেমেয়ে পিছিয়ে যান এবং টেনেটুনে ১ শতাংশেরও কম ছেলেমেয়ে ISRO-য় যোগদান করেন, তাও শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণাকে ভালবাসেন বলে, জানান সোমনাথ।
দেশের মহাকাশ গবেষণার কাজে যুক্ত হওয়া, ইতিহাস গড়ার হাতছানি এড়ানো সহজ কাজ নয়। কিন্তু বেতন দেখেই নাকি IIT-র ছেলেমেয়েরা অনীহা দেখান বলে জানিয়েছেন ISRO প্রধান সোমনাথ। একটি IIT থেকে লোক নিয়োগ করতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “ISRO-য় কাজের সুযোগ-সুবিধাগুলি বোঝাচ্ছিল আমাদের টিম। IIT থেকে প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগই ছিল লক্ষ্য। কী ধরনের কাজ করতে হয়, তাতে কী কী সুযোগ-সুবিধা মেলে, সব বোঝানো হয় প্রথমে। তার পর বেতনের কাঠামো তুলে ধরা হয়। সর্বোচ্চ কত বেতন হতে পারে, তাও জানানো হয়। তাতেই থেমে যায় সবকিছু। বেতনের কাঠামো দেখেই ৬০ শতাংশ ছেলেমেয়ে বেরিয়ে যান।”
ISRO প্রধান সোমনাথ জানিয়েছেন, ISRO-র সর্বোচ্চ বেতনে অঙ্ক যা, IIT থেকে পাস করে প্রথম চাকরিতেই সেই বেতন পেয়ে যান ছেলেমেয়েরা। ISRO-র বিজ্ঞানীদের বেতন নিয়ে সম্প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী হর্ষ গোয়েঙ্কা। যে পরিশ্রম করেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা, তাতে বেতন ঢের বেশি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন গোয়েঙ্কা।
ISRO প্রধান এবং মহাকাশ বিভাগের সচিবের বেতন ২.৫ লক্ষ টাকার আশেপাশে। ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ৫৬ হাজারের মতো। তার উপর, দীর্ঘ দিন বেতন না পাওয়ার অভিযোগও সামেন এসেছে সম্প্রতি, যা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও চোখে পড়ে। তাই মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ থাকলেও, বেতন দেখে যোগ্য ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে যান বলে মত বিশেষজ্ঞদের।