নয়া দিল্লি: আগামী শনিবার সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse)। জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহীদের জন্য রয়েছে দারুণ চমক। ১৪ অক্টোবর আকাশে দেখা যাবে এক বিরল দৃশ্য। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত বেশ কিছু জায়গার স্থানীয়রা এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে। শনিবার আমেরিকার বেশিরভাগ অংশে ‘রিং অফ ফায়ার’ সূর্য গ্রহণের আংশিক দৃশ্য দৃশ্যমান হবে। ২০১২ সালের পর এই প্রথম এমন বিরল দৃশ্য দেখা যাবে। 


ওয়াশিংটনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার চাঁদ সূর্যের সামনে অবস্থান করবে, যার কারণে এর বেশিরভাগ অংশই লুকিয়ে থাকবে কিন্তু একটি দর্শনীয় বৃত্ত বা বলয় দেখা যাবে। জানা যায়, চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে তার দূরতম বিন্দুতে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে যায় সেই সময় একটি বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ ঘটে । এই কারণে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে রাখতে পারে না, যার কারণে আকাশে সূর্যের আলোর একটি পাতলা বৃত্ত বা ‘আগুনের বলয়’ দৃশ্যমান হয়। সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ তখনই ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছে থাকে।


নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ওরেগন, নেভাদা, উটাহ, নিউ মেস্কিকো, টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু অংশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আংশিক সূর্যগ্রহণের গড় সময় হবে চার থেকে পাঁচ মিনিট। আটলান্টিক মহাসাগরে সূর্যাস্তের সময় আংশিক সূর্যগ্রহণ শেষ হবে। এই সূর্য গ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই এদেশে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।


আশ্বিনের অমাবস্যাকে অনেকেই সর্বপিতৃ অমাবস্যা বলে আখ্যা দেন। এমন দিনে গ্রহণ পড়ায়, ভারতে তার প্রভাব জ্য়োতিষমতে নেই বলে জানা যাচ্ছে।  মহালয়ার দিন ১৪ অক্টোবর রাত ৮.৩৪ মিনিট থেকে এই গ্রহণ শুরু হবে। আর তা মধ্য রাত্রি ২.২৫ মিনিটে শেষ হবে। এই ধরনের গ্রহণকে কঙ্কনাকৃতি সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অক্টোবরের এই গ্রহণ মূলত বলয়গ্রাস। আর তারফলেই এমন দিনে আকাশে সূর্যকে কঙ্কণ বা চুড়ির আকারে দেখতে লাগবে। তার কারণেই এই নামকরণ।


কোন রাশি ও নক্ষত্রে সূর্য গ্রহণ?


এই সূর্য গ্রহণ কন্যা রাশি ও চিত্রা নক্ষত্রে লাগবে। তাই এই রাশি ও নক্ষত্রের জাতকদের জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। জ্যোতিষ অনুযায়ী এই জাতকরা শরীরে শক্তির অভাব অনুভব করবেন। বিশেষত কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের চোখের সমস্যা হতে পারে। জ্বর, অ্যালার্জির সমস্য়াও আপনাকে কষ্ট দিতে পারে।