নয়াদিল্লি: চিকিৎসকের তুলনা হয় ঈশ্বরের সঙ্গে। মৃত্যুর সঙ্গে যুঝতে থাকা মানুষকে ফিরিয়েও আনতে পারেন তাঁরা। এবার গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিলেন তাঁরা (Miracle Surgery)। ধড় থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া এবং মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির সঙ্গে আলগা লেগে থাকা বালকের মাথা, ফের শরীরে বসিয়ে দিলেন। তাঁদের এই কীর্তিতে বিস্মিত গোটা দুনিয়া। (Viral News) সোশ্য়াল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই খবর।


সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ে ১২ বছরের সুলেমান হাসান


ইজরায়েলের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই অসাধ্যসাধন করেছেন। সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ে ১২ বছরের সুলেমান হাসান। তাতে তার ধড় থেকে কার্যতই আলাদা হয়ে যায় মাথা। শুধু মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির সঙ্গে আটকে ছিল মাথার খুলি।


দুর্ঘটনায় কারও এমন অবস্থা হলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় থাকে বলে ‘বাইলেটারাল আটলান্তো অক্সিপিটাল জয়েন্ট ডিসলোকেশন’। সুলেমানের সঙ্গে তেমনই ঘটেছিল। তড়িঘড়ি হাদাশাহ মেডিক্যল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে অস্ত্রোপচার হয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথা শরীরে সঙ্গে জুড়ে দিতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন: Chandrayaan 3: পৌঁছয় না সূর্যের আলো, চিরকালের মতো হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, চাঁদের বিপজ্জনক দক্ষিণ মেরুতেই অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান-৩’


হাদাশাহ মেডিক্যল সেন্টারের চিকিৎসকরা দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল সংবাদপত্রে জানিয়েছেন, সুলেমানের মাথা প্রায় বিচ্ছিন্নই হয়ে গিয়েছিল। ঘাড় থেকে মাথা সরে গিয়েছিল। জুড়ে ছিল শুধু মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধি। নতুন প্লেট বসিয়ে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে, নিখুঁত অস্ত্রোপচারে সেটি জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে।


অস্ত্রোপচারের পরও স্নায়ুঘটিত কোনও সমস্যা আপাতত নেই সুলেমানের


চিকিৎসকদের মতে, সুলেমানের মাথা জোড়া লাগাই নয় শুধু, জটিল এই অস্ত্রোপচার মিরাকলের চেয়ে কম নয়। দুর্ঘটনায় এমন অবস্থা হলে, রোগীর বেঁচে থাকারই কথা নয়। অথচ অস্ত্রোপচারের পরও স্নায়ুঘটিত কোনও সমস্যা আপাতত নেই সুলেমানের। কোনও সাপোর্ট ছাড়া হাঁটতেও পারছে সে।


গত মাসে ইজরায়েলের হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় সুলেমানের। তবে সে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত গোট বিষয়টাই লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি এই অসাধ্যসাধনের ঘটনা সামনে আনা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে সুলেমান। তবে ঘাড়ে এখনও সাপোর্ট বসানো রয়েছে।চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই রয়েছে সে।