চেন্নাই: মহাকাশ গবেষণায় নয়া মাইলফলক ভারতের। শনিবার তামিলনাড়ু থেকে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেট উৎক্ষেপণ করল একটি স্টার্টআপ সংস্থা। ঘনকাকৃতির ছয়টি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে রওনা দিয়েছে রকেটটি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণার কাজে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে ওই তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ। (RHUMI 1 Rocket)
তামিলনাড়ুর বেসরকারি স্টার্টআপ সংস্থা Space Zone India এবং Martin Group রকেটটি তৈরি করেছে। পুনব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেটটির নাম 'RHUMI-1'. শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে রকেটটির উৎক্ষেপণ হয়। তিনটি ঘনকাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়াও ৫০টি PICO স্যাটেলাইটও বহন করছে রকেটটি। এগুলি ক্ষুদ্রাকার রকেট। ওজন ০.১ থেকে ১ কেজির মধ্যে হয় সাধারণত। চলমান লঞ্চারের মাধ্যমে আজ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। (Science News)
'RHUMI-1' রকেটটি Suborbital Trajectory-তে বিচরণ করবে। অর্থাৎ শক্তিশালী রকেটগুলির তুলনায় এই রকেটের গতিবেগ তুলনামূলক কম। কক্ষপথ ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা থাকে না। নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে, কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে নামিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। তবে সাধারণ বিমানের চেয়ে এই ধরনের রকেটের গতিবেগ অনেকটাই বেশি হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছোটে।
'RHUMI-1' রকেটে জ্বালানি নির্ভর হাইব্রিড মোটর রয়েছে। তরল এবং নিরেট, দুই ধরনের জ্বালানিই ব্যবহৃত হয়। ফলে খরচ অনেকটাই কম। পাশাপাশি, বিদ্যুৎশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্যারাশ্যুট ব্যবহারের প্রযুক্তিও রয়েছে এই রকেটে। সামরিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত TNT ব্যবহার করা হয়নি এই রকেটে। 'RHUMI-1' অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দ মেগলিঙ্গম। তিনি Space Zone India সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাও। ছেলের নামে রকেটের নামকরণ করেছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র প্রাক্তন ডিরেক্টর মিলস্বামী আনন্দুরাইয়ের পরামর্শ মতো এগিয়েছেন।
Space Zone India একটি এ্যারো টেকনোলজি সংস্থা, যারা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কম খরচে, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রদান করে। এ্যারোডায়নামিক প্রিন্সিপাল, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, ড্রোন প্রযুক্তি, রকেট প্রযুক্তির প্রশিক্ষণও দেয়। মহাকাশ জগতে কেরিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উৎসাহ জোগায়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে।