নয়াদিল্লি: চাঁদ এবং সূর্যেই থেমে নেই গবেষণা। পড়শি গ্রহগুলিকে আরও ভাল করে চেনার প্রক্রিয়াও চলছে। যে কারণে শুক্রযান-১ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. সেই Venus Orbiter Mission নিয়ে এবার বড় ঘোষণা করল তারা। জানা গিয়েছে, শুক্রযান-১ অভিযানের জন্য মহাকাশযানের সম্পূর্ণ নকশা এবং রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে, যা সরকারি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। (ISRO News)


বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করে ISRO. বলা হয়েছে, ISRO-র তরফে Venus Orbiter Mission, যা শুক্রযান-১ অভিযান নামে পরিচিত, তার নকশা ও রূপরেখা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে সরকারকে। (ISRO Shukrayaan 1 Mission)


চন্দ্রযান-৩, সৌরযান আদিত্য-L1 অভিযানে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর ISRO. সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গত বছরই শুক্রযান-১ অভিযানের ঘোষণা করে তারা। এর পর কয়েক মাসও কাটল না, অভিযানের প্রস্তুতি প্রায় সেরেই ফেলল ISRO. এবার সরকারের তরফে ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষা। 



শুক্রগ্রহের উদ্দেশে এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে শুক্রযান-১।  শুক্রগ্রহ এবং যান, দুই শব্দকে জুড়ে এই নামকরণ। ২০১২ সালেই এই অভিযানের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল, শুক্রগ্রহকে পর্যবেক্ষণ করা। বর্তমানে শুক্রগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা একেবারেই অসম্ভব। তবে জীবাণু থাকলেও থাকতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের।  তাই শুক্রের বায়ুমণ্ডল এবং ভৌগলিক গঠন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চান ISRO-র বিজ্ঞানীরা। 


আরও পড়ুন: Exoplanet TOI-6713.01: গায়ের রং অগ্নিসদৃশ লাল, প্রতিদিন একটু একটু করে গলছে এই Exoplanet, কারণ জানা গেল


শুক্রকে পৃথিবীর যমজ বোন হিসেবে ধরা হয় শুক্রগ্রহকে। পৃথিবীর সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের চাপ পৃথিবীর তুলনায় ১০০ গুণ বেশি। কেমন এমন অবস্থা, এর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। অ্যাসিড উপাদান মিশে রয়েছে শুক্রের ঘন মেঘে, যে কারণে শুক্রের মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো যায় না। পৃথিবী এবং শুক্র শুধুমাত্র পড়শিই নয়, দুই গ্রহের সৃষ্টিও প্রায় একই সময়ে। কিন্তু পৃথিবীতে প্রাণ ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও, শুক্রে কেন নেই, এই প্রশ্ন আজকের নয়, তার জবাব পাওয়াও লক্ষ্য ISRO-র। 


কবে শুক্রযান-১ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।  ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়েই অভিযান হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু করোনা কালে গবেষণার কাজে ব্যাঘাত ঘটলে দিন পিছিয়ে যায়।